প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৯:০১
হাজীগঞ্জে প্রতিবেশির সীমানা প্রাচীর ভাংচুরসহ হুমকি
হাজীগঞ্জে প্রতিবেশি সংখ্যালঘু এক পরিবারের সম্পত্তি জোর করে দখলে নিতে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
|আরো খবর
গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর গ্রামের ঠাকুর বাড়ীতে ঘটেছে।
থানা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঐ বাড়ির লক্ষ্মণ চক্রবর্তীর পৈত্রিক সম্পত্তি প্রতিবেশি জোহর আলীর ছেলে আ. মালেক পরিকল্পিতভাবে দখলে নিতে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এতে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায় মালেক গং। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এরপরেই ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ঘটনার ভাংচুর ও হামলা চেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত হন। গত বছরও অভিযুক্তরা এই সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি দখল করতে হামলা চালায়। ঐ ঘটনায় থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ভাংচুরের ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য সাবিত্রী চক্রবর্তী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আ. মালেক ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সাবিত্রী চক্রবর্তী জানান, আমাদের সম্পত্তি মালেক গং বারবার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের বাধা দিতে গেলে আমাদের উপর হামলা চেষ্টা চালায়। মঙ্গলবারের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
সম্পত্তি দখল, হামলায় চেষ্টায় ও ভাংচুরের বিষয়ে আ. মালেক সব অস্বীকার করে বলেন আমি সীমানাপ্রাচীরের পাশ থেকে মাটি আনতে গেলে নিজেরা আমাদেরকে মারধর করতে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মজুমদার বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন আমাকে জানানোর পর ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে পাঠিয়েছি। এটি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপীনাথ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ জানান,অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে,তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।