প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২২, ২০:০৫
২০ আগস্টকে 'নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম দিবস' ঘোষণা দাবীতে আলোচনা সভা
হাইমচর উপজেলার ভিটেমাটি হারা অসংখ্য নদী ভাঙতি অসহায় মানুষের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন এ অঞ্চলের অভিভাবকগন। তাদের সম্মানার্থে দিবসটিকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
৮০'র দশক থেকে চলে আসা হাইমচরের মানুষের প্রাণের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম সফল হয় ২০১১ সালে। যাদের আত্মত্যাগে এ সংগ্রাম সফল হয় তারা অনেকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের এ সংগ্রামকে স্মরণীয় করে রাখতে ভিটেমাটি হারা মানুষের দাবি ২০ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা। এ দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, লেখক, গবেষক, কলামিস্ট সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ২০ আগস্ট ২০২২ শনিবার বিকেলে মেঘনা পাড় হাইমচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি কলেজের সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও হাইমচর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর ও নেক্সাস টেলিভিশন আল আমীন রশীদ, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম দিবস সংগঠক হাসান আলী, হাইমচর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ শাহাদাৎ মিয়াজি, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক, কলামিস্ট কাজী শাহাদাত প্রমূখ।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত বলেন, আমার ৪০ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে হাইমচরের মানুষের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখা লেখি করেছি। আমি এবং আমার আত্মা মিশে আছে এই উপজেলার মাটি ও মানুষের হৃদয় গম্ভরে। স্বচক্ষে উপলব্ধি করতে পেরেছি এখানকার মানুষের সুখ, দুঃখ। এ সর্বনাশা মেঘনা কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের ভিটেমাটি, আর হাজারো পরিবারকে করেছে নিঃস্ব।
মেঘনার ভয়াবহ করাল গ্রাসে নিপতিত হয়ে অনেকেই মাতৃভূমি ছেড়েছেন, পাড়ি দিয়েছেন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তাই এই মানুষগুলোর সম্মানার্থে বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদী তীরবর্তী মানুষের জন্য হলেও 'নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম দিবস'কে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাব, হাইমচর এর সভপতি মোঃ ফারুকুল ইসলাম, হাইমচর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা এম এ মান্নান, মোশাররফ হোসেন, মশিউর রহমান খোকন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার বারেক বকাউল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রামের সদস্য ও হাইমচর রোবার স্কাউটের একাংশ।