প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৫
জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ পুরস্কার বিতরণ
অন্বেষণ প্রতিযোগিতা মেধাভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে : জেলা প্রশাসক
চাঁদপুর জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ -২০২২ এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ও বিজয়ী পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (৮ আগস্ট ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন ২০২২ জেলা কমিটি,চাঁদপুর এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ইমতিয়াজ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক কামরুল হাছানসহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মাসুদুল আলম ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ অর্জন সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, এ শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার।
নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে এ প্রতিযোগিতা। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের শিক্ষকদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ মেধা ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা মেধা ভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন লেখাপড়ার সুনির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে চাও সেই স্বপ্ন দেখতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আর ৮ ই আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মদিন। বঙ্গমাতা তিনি বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনীই ছিলেন না,তিনি ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ এর চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী,শ্রেণী শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংগীত, রচনা, কেরাত সহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুরস্কার ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়।
এ বছর শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে চাঁদপুর সরকারি কলেজ, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা ও চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।
শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান, গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আযাদ হোসেন।
শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে ক্রেস্ট ও সনদ পেয়েছেন মতলব জেবি সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) নাজমুন্নাহার শিউলি, কচুয়া আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক গণিত ও বিজ্ঞান মোঃ জাহিদুল হোসেন, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (ভূগোল) ড. মোঃ মাসুদ হোসেন, চাঁদপুর আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক (গণিত) মোঃ আমিনুল ইসলাম। জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর নির্বাচিত হয়েছেন বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আরিশা আদ্রিয়ান সোহা, ফরিদগঞ্জ গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত অনার্স কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান শ্রেণীর ছাত্র মাশরাফি মোর্তুজা, মতলব দারুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নাহিদা ইসলাম হেপি ও মতলব যেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ভোকেশনাল মোঃ শিহাব সিয়াম।