প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২২, ২১:০৮
বিষ্ণুদীতে মসজিদের ইমামের উপর হামলা : বিভিন্ন মহলের নিন্দা
চাঁদপুর পৌরসভার বিষ্ণুদী রোডস্থ ঈমানিয়া জামে মসজিদের ইমাম উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টায় ওই মসজিদের পাশেই। এনিয়ে বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
মসজিদের ইমাম মাওঃ মোঃ ইউসুফ মিয়া জানান, আমি দুপুর বেলা আমার মসজিদের পথে মটর সাইকেল দেখে সড়ে দাঁড়ালে, মেহেদী হাসান আমাকে বলে আপনি সাইট দেন না কেন। আমি বললাম তুমি যাইবাছানা। এ কথা বলতেই মেহেদী হাসান ও তার বাবা দুলাল মৃধা আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় মুসল্লী আজিজ ঢালী ও কাওছার চোকিদার আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বাসস্ট্যান্ড মাদ্রাসার শিক্ষক মাওঃ আব্দুল হান্নান জানান, ওরা হিংস্র প্রকৃতির মানুষ। এরা সবসময় মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে। তাদের আঘাতে হুজুরের চোখের কোঠায়, কপালে ও সিনার মধ্যে সেলাই লেগেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ইজ্ঞিনিয়ার মোঃ রমজান আলী মৃধা জানান, আমার ভাতিজা হুজুরের গায়ে হাত দিয়েছে। এটা সে অন্যায় করেছে। যেহেতু তিনি আমাদের মসজিদের ইমাম। সম্মানিত ব্যক্তি। মেহেদী হাসান জানান, আমি মটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে হুজুর সাইট দিতে বলি। এতে হুজুর আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে থাপ্পর মারে। এটা আমার বাবা জিজ্ঞেস করতেই আমাদের সাথে হুজুরের বাক-বিতান্ডা ও ধাক্কা-ধাক্কি থেকেই আমার হাতে থাকা আংটির আঘাত হুজুরের চোঁখে লেগেছে। এটা আমার ভূল হয়েছে।
জেলা কওমী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ লিয়াকত হোসাইন জানান, মাওঃ মোঃ ইউসুফ মিয়া একজন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি মুসল্লিদের প্রতি নিয়ত শান্তির বার্তা শোনান। একজন সমাজের ধর্মীয় নেতার উপর এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মোঃ সাইফুদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনাটি আমি বিকেলেই শুনেছি। এ ঘটনা আমি মর্মাহত হয়েছি। একজন আলেমের উপর এ ধরনের হামলা ঠিক হয়নি। হামলাকারীরা ওই মসজিদেরই মুসল্লি। সেহেতু ইমাম সাহেব ও তাদেরকে নিয়ে বসার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক মহোদয়ের সাথে কথা বলছি।
এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদের সাথে। এ ঘটনার সততা স্বীকার করে তিনি জানান, আমি ঘটনা শুনেছি এবং অভিযোগ করার জন্য বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।