প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ০৩:০৩
আসুন, করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই-১২
করোনায় সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনার ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনি করোনা মোকাবেলায় বিশেষ করে মাস্ক পরিধান সহ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় ছোট-বড় কী কাজ করতে চান কিংবা কী বলতে চান?'
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠের এমন প্রশ্নে চাঁদপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সেন্ট্রাল রোটারী ক্লাব অব চাঁদপুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর অ্যাডঃ নুরুল আমিন খান আকাশ বলেন, চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। করোনার সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনায় মৃত্যুও বাড়ছে। যা উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
পৌরসভাসহ জেলার সকল মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে।জ্বর হলে জ্বরের যে ওষুধ আছে সেগুলো খাওয়ার পাশাপাশি গরম পানির ভ্যাপ নিতে হবে।
নুরুল আমিন খান আকাশ পেশায় একজন তরুন আইনজীবী, দক্ষ সংগঠক এবং যুবনেতা।তিনি শহরের সকল পেশার মানুষের কাছে খুবই পরিচিত। করোনা মহামারীর এই দুর্যোগে তিনিও একজন করোনার সম্মুখযোদ্ধা। করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষকে সচেতন করার লক্ষে প্রচুর মাস্ক বিতরণ করেছেন শহর এলাকাতে। নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়ে করোনাকে জয়ও করেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠের উপরোক্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেকের মাস্কটা জরুরী। মাস্ক পরা একেবারে নির্ধারণ করে দিতে হবে। সাধারন মানুষ যাতে সহজে করোনার টিকা নিতে পারে আমাদের চাঁদপুরে যত মানুষ আছে তাদের জন্য একসঙ্গে ৬/৭ টা টিকার বুথ তৈরি করে ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন,যদি ইনজেকশন দেওয়া কনফার্ম করা যায়, সবাই করোনা আক্রান্ত থেকে মুক্তি পেতে পারে। টিকা আমি নিব, আরেকজন নিব না। তাহলে লাভ হবে না।টিকা না নেওয়া ব্যক্তির থেকে টিকা নেয়ার ব্যক্তির সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থাকে। অ্যাডঃ নুরুল আমিন খান আকাশ জনসাধারনের মাঝে মাস্ক বিতরন ছাড়াও একজন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার নিজের এলাকা চাঁদপুর পৌরসভার ৭,৮,৯ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের কর্মহীন অসহায় মানুষকে খাদ্য দিয়ে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন।রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষেও মানুষের পাশে ছিলেন এবং দলের হয়ে কাজ করেছেন।