প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ২১:০৫
পদ্মা সেতু ভ্রমণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো কচুয়ার রিয়াদ
পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সংবাদ পেয়ে মাঝরাতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে যাওযার পথিমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো কচুয়ার ডুমুরিয়া গ্রামের রিয়াদ হোসেন (২৩)।
|আরো খবর
গত রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়া প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
নিহত রিয়াদ উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি ফার্মে চাকুরি করতেন। সেই সুবাধে বন্ধুদের সাথে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি ও তার স্ত্রী, ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ায় থাকতো।
নিহতের স্ত্রী জান্নাত আক্তার জানান, রবিবার মধ্যরাতে আমার স্বামীর সাথে আমার শেষ কথা হয়। এ সময় রিয়াদ বলেছিলো, আগামীকাল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চালানো যাবে না। তাই সে তার কয়েকজন বন্ধুসহ মোটরসাইকেলে করে পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছে। তারপর রাত ৩ টার দিকে তার এক বন্ধু আমার শ্বশুড়কে কল দিয়ে জানায় রিয়াদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
এদিকে পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পরেছেন নিহত রিয়াদের স্ত্রী জান্নাত আক্তার। স্বামীর মৃত্যুতে ছেলেকে নিয়ে অকূল সাগরে পড়ে সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
নিহত রিয়াদের পিতা দুলাল মিয়া জানান, দুর্ঘটনায় নিহত আমার ছেলে রিয়াদ হোসেনের লাশ ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে আছে এমন খবর পেয়ে মনোয়ারা হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, রিয়াদ তার বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে করে পদ্মা সেতু দেখতে যায়। যাওয়ার পথে রিয়াদের মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রেলিং এর সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়। এ সময় তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত তাকে ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আজ সোমবার দুপুরে রিয়াদের লাশ তার নিজ গ্রাম ডুমুরিয়ায় নিয়ে আসলে মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানসহ স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে উঠে। তার মৃত্যুতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনের মাঝে শোকের মাতম নেমে আসে। সোমবার বাদ আসর মরহুমের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।