মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২২, ২০:১৮

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ফজলুর রহমান বাবুলকে জাসদের সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ফজলুর রহমান বাবুলকে জাসদের সংবর্ধনা

প্রথিতযশা ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চাঁদপুরের কৃর্তী সন্তান মো. ফজলুর রহমান বাবুল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। গত শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃতি ক্রীড়া সংগঠক, মোহামেডান, টিএনটি কর্মকর্তা, খো খো ফেডারেশন, ক্রীড়া পরিবারের সম্পাদক, ক্যানারি ওয়ারফ ইউকে ফুটবল একাডেমির সিইও, জাসদের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুলকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন জানান জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অ্যাডঃ রবিউল আলমসহ অনেকে। সংবর্ধনা পেয়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাবুল তার ৫০ বছরের ক্রীড়া অভিজ্ঞতা জানান।

সম্প্রীতি রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মনোনীত দেশের ৮৫ জন বরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পুরস্কার গ্রহণ করেন। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি চাঁদপুরের কৃর্তী সন্তান মো. ফজলুর রহমান বাবুলকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পদক পরিয়ে দেন। সর্বোচ্চ এই পুরস্কার ২০১৪ সালের জন্য ঘোষিত হয়েছিল।

ফজলুর রহমান বাবুল ১৯৫১ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার পাইকপাড়া ৮ নং ইউনিয়নের কামালপুর পাটোয়ারী বাড়িতে জš§গ্রহণ করেন। এই কৃতি সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধিকার আন্দোলনের নিউক্লিয়াস। ৬৯-৭০ সালে ঢাকা শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মতিঝিল থানার (বর্তমান ১১টি থানা) স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী তার বাড়িটি ধংস করেছিল। চার যুগ ধরে ক্রীড়া অঙ্গনে তার বিচরণ। তিনি ঢাকা মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য, বাফুফে, ডামফা, মফুলীর কর্মকর্তা হিসেবে ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মতিঝিল টিএন্ডটি ক্লাবের চিফ অ্যাডভাইজার ও এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জাতীয় ও মোহামেডান ফুটবল দলের হয়ে বহুবার দেশে-বিদেশে টিম লিডার ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফিফা মাঠ ও টার্ফ ম্যানেজমেন্টে দু’বার সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এছাড়া ক্যানারি ওয়ারফ ইউকে ফুটবল একাডেমির চিফ কো-অরডিনেটর। ৭৭ সালে মুক্তধারা-বাংলা একাডেমি একুশে সংকলন প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ৭১ সালে পাক বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালালে পুলিশদের সহযোগী হিসেবে প্রথম পেট্রিয়ট যোদ্ধা ছিলেন। ২৭ মার্চ, ৭১ সালে ২ জন বীর পুলিশ শহীদ হলে টিএন্ডটি ক্লাবের পেছনে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে সমাহিত করেন। মোহামেডানের চার যুগের সাফল্যের অংশীদার তিনি। সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য খেলোয়াড়। বর্তমানে বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী সাহেবের বাড়ি হচ্ছে ফজলুর রহমান বাবুলের মামার বাড়ি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়