প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩২
ফরিদগঞ্জে শেষ সময়ের ঈদের বাজার জমজমাট হলেও হতাশ ব্যবসায়ীরা
|আরো খবর
ফরিদগঞ্জ বাজারের কয়েকটি মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ক্রেতারা। ঈদের বাজার করতে এসে অনেকে সাথে নিয়ে এসেছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও। দিনের বেলা যানজট ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করার জন্য কেউ কেউ মার্কেটে আসছেন ইফতারের পর।
ফরিদগঞ্জের মাহিশা শপিং সেন্টার, তালুকদার প্লাজা ও হল মার্কেট সহ বাজারের বড় বড় মার্কেট গুলোতে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় চলতে লক্ষ্য করা গেছে। দিনের বেলায় নারী ক্রেতারা কেনাকাটা করতে আসলেও ইফতারের পর মার্কেটগুলোতে বেশিরভাগ দেখা মিলছে পুরুষ ক্রেতাদের।
এবারের ঈদে ক্রেতা আকর্ষণ করতে নতুন ডিজাইনের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারাও। রংতুলি ফ্যাশনের পরিচালক মমিন গাজী জানান এবারের ঈদ পোশাকে মেয়েদের পোশাক হিসেবে আছে থ্রি পিস, টু পিস, কাজ করা জর্জেট কামিজ, ভিসকস কামিজ, বিভিন্ন রংয়ের প্রিন্ট লং শার্ট, টপস, টিউনিকস, কামিজের জন্য রয়েছে এমব্রয়ডারি স্ক্যান্টস, প্লাজ্জো ও লেগিংস, সালোয়ার-কামিজসহ হরেক রকমের পোশাক। নারীদের পোশাকের পাশাপাশি তাদের ঈদ কেনাকাটায় থাকছে পছন্দের গহনা ও প্রসাধনীও।
ড্রিম ফ্যাশন হাউজের সাকিব চাঁদপুর কন্ঠকে জানান এবারের ঈদ শপিংয়ে বাচ্চাদের পোশাক হিসেবে ক্রেতারা শার্ট, ফতুয়া, শর্ট স্লিভ, ফুল স্লিভ, লং প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট ও বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবী এসব পোশাকের দিকেই বেশি ঝঁকছে। মেয়ে শিশুদের জন্য দোকানগুলোতে আছে রঙ বেরঙের ভিন্ন ডিজাইনের ফ্রক, পার্টি ফ্রক, ফ্যাশন টপস, থ্রি পিস, জাম্প স্যুট, নীমা সেট, টপ বটম সেট, লং ও শর্ট স্লিভ শার্ট, পলো টি-শার্ট ও কার্গো। আছে নাটক ও ছবির চরিত্রের সাথে মিল রেখে ভিন্ন নামের নতুন নতুন পোশাক।
গরমের কারনে পুরুষের পোষাকে এবার ক্রেতাদের কাছে প্রধান্য পাচ্ছে হালকা ও টেকসই ফেব্রিকসের তৈরি বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, পায়জামা, জিন্স ও গ্যাবাডিনের প্যান্ট।
ঈদের বাকি হাতে গনা কয়েকদিন থাকায় মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও বিক্রেতাদের দাবী আশানূরূপ বিক্রি হচ্ছে না। তারা তাদের হতাশার কথা জানিয়েছে চাঁদপুর কণ্ঠকে। অনেক দোকানদার বলছে, গত বছর করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও এর থেকে ভালো বেচা-বিক্রি হয়েছে। গত বারের চাইতোও মন্দা যাচ্ছে এবারের বেচা-কেনা। এ জজন্য অনেক দোকানি দুষছেন অনলাইন শপিংকেও।
তাদের দাবী অনলাইনের চকচকে ছবি দেখে অনেকে মানহীন পণ্য কিনছে। এতে করে করে ক্রেতারা যেমনি ভাবে প্রতারিত হচ্ছে সেই সাথে মার্কেটগুলোতে কমছে বিক্রি। এদিকে শপিং করতে আসা কয়েজনে ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান,অন্যান্য বছরের তুলনায় দোকানদাররা পোশাকের দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। ১ হাজার টাকার পোশাক ২/৩ হাজার টাকার নিচে বিক্রি করছে না।
অধিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, প্রতিটি পোশাকে তাদের পাইকারি ববাজার থেকে কেনা বেশি বলে জানান।