প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৯:৪৩
হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলেক্ষ্য অলোচনা সভা
হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলেক্ষ্যে অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ): কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহাম্মদ।
|আরো খবর
এ সময় মো: মাসুদ আহম্মদ বলেন, ৭ মার্চের ভাষণেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতিন জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। সে ভাষণেই আমাদের স্বাধীনতার মূল বীজ বুনন হয়েছে।
সভাপ্রধান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এ কথার মাধ্যমে তিনি যেমন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তেমনি মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তির কথাও বলেন। যা আজও অর্জিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন। এ মহত উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজে করার জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, মুলত: ৭ মার্চের ভাষণের প্রমাণিত হয় যে, এ পূর্ব বাংলা জনগণ কখনো পাকিস্তানের দখল দারিত্ব মেনে নেয়নি। ৭ মার্চের ভাষণের গুরত্ব বহুমাত্রিক। পাকিস্তানের অত্যাচারের বিষয়টি তিনি এ ভাষণের মাধ্যমে বিশ^বাসীর কাছে তুলে ধরেন। ৭ই মার্চের ভাষনের মাধ্যমে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় এ ভাষণের গুরত্ব বহুমাত্রিক হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করে।
সভা পরিচালনা করেন, সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মো: আনোয়ার উল্ল্যা, সহকারী অধ্যাপক নাজমা আক্তার, প্রভাষক সুমন মিয়া প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক আ.ন.ম মুফিজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক বিলকিছ বেগম, সহকারী অধ্যাপক শ্রী কৃষ্ণ দেসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।