প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২১, ২৩:১২
চাঁদপুর সদর ইউএনওর অভিযানে ২০ সহস্রাধিক টাকা জরিমানা ॥ সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ
দেশে একদিনে রেকর্ড ২ শতাধিক মৃত্যুর পরদিনও চাঁদপুরের রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি কমতি নেই। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ৮ম দিনে গতকাল চাঁদপুর শহরের চিত্র দেখা গেছে অন্যান্য দিনের চেয়ে ভিন্ন রকমের। গতকাল দিনভর বিভিন্ন সড়কে অবাধে মানুষের চলাচল দেখা গেছে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও ব্যাংক, বীমা, নিত্যপণ্যের দোকানসহ বিভিন্ন মিল কারখানা চালু রয়েছে। ফলে কাজের জন্য এবং জরুরি প্রয়োজনের অজুহাতে অনেকে রাস্তায় বের হয়েছেন। গণপরিবহন না থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, পণ্য ও জরুরি সেবার যানবাহনের উপস্থিতির কারণে রাস্তায় লোকজন বেশি দেখা যায়। তবে খাদ্য পণ্য ছাড়াও অন্য সামগ্রী যেমন নির্মাণ সামগ্রীর গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
গতকাল ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্নস্থানে লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করেছেন চাঁদপুর সদর ইউনিয়ন সানজিদা শাহনাজ। তিনি সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে শহরের বাস স্ট্যান্ড ও কালীবাড়ি এলাকার নূর ম্যানশন মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৯ মামলায় ১৯ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আদায় হয় জরিমানার ২০ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া গতকালও অসহায় দরিদ্র কয়েকজনের মাঝে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ক্যাপ্টেন সায়েমের উপস্থিতিতে পথচারী গরিব প্রতিবন্ধীদের হাতে ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।
ইউএনও সানজিদা শাহনাজ বলেন, চাঁদপুর জেলায় কঠোর লকডাউন পালনে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ মহোদয়ের নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে অবিরাম মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও ব্যাটালিয়ন আনসার । এর ধারাবাহিকতায় অষ্টমদিন বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর সাথে কার্যকর লকডাউন করার জন্যে আমরা অভিযান করেছি। এ সময় শহরের একটি মার্কেটে টেইলার্স দোকান খোলা রাখা অবস্থায় এবং অন্যান্য দোকানে লোকজন পেয়েছি। তাদেরকে সতর্ক করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে এবং নিরাপদে থাকার আহ্বান জানান। এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসীম চন্দ্র বণিক জানান, চাঁদপুর জেলায় ৮ জুলাই ১৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এদিন সর্বমোট ৯১ টি মামলায় ৯১ জনকে ৫৭,৩৫০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।