প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১৫:১২
সরকারি মুরগিতে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বুনছে ৫৫ পরিবার
সরকারি মুরগিতে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বুনছে হাজীগঞ্জের প্রায় ৫৫টি পরিবার। প্রতিটি পরিবারকে ৩০টি মুরগির সাথে ১বস্তা করে মুরগির খাবার, ঔষধ, খাঁচা পেয়ে আবেগ আপ্লুত পরিবারগুলো। বিনা পুজিতে মুরগি পেয়ে, এখন নিজেরা তা থেকে খামার তৈরি করবে বলে চাঁদপুর কন্ঠকে জানান সংশ্লিষ্টরা। এতে করে এই সকল পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক সদস্যরা সরাসরি উপকৃত হবে।
|আরো খবর
চাঁদপুরজেলা পরিষদের এডিপি খাতের বিশেষ বরাদ্দের আওতায় আত্ম কর্মসংস্থানমূলক সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে সোনালী মুরগী পেয়ে বেজায় আনন্দিত উপজেলার অঁজপাড়াগাঁয়ের অস্বচ্ছল পরিবারগুলো।
মুরগি পাওয়া একটি পরিবারের সদস্য উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাচৈ গ্রামের মৃত. জালাল আহমেদের ছেলে শারিরিক প্রতিবন্ধি হাবিব মিয়া (৪৬) জানান, আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন। মুরগী, খাচা, ঔষদ, ফিড পেয়েছেন। এখন মুরগিগুলোকে লালন-পালন করে তার আয়ে খামারের স্বপ্ন বুনবেন হাবিব।
গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পাচৈ গ্রামের মৃত জালাল আহমেদের ছেলে শারিরিক প্রতিবন্ধি হাবিব মিয়া (৪৬)। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন অনেক আগেই। এখন পেয়েছেন মুরগী,খাচা, ঔষদ, ফিড। হাবিবের খুশির অন্ত নেই। মুরগী পালন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করেন হাবিব। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না বলেও আশাবাদী হাবিব। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কথায় কথায়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই ও বেঁচে থাকার একটা অবলম্ভন পেয়ে সুখে আছেন। স্বপ্ন দেখছেন একদিন বড় খামারি হবেন। তার আর কিছু চাওয়া নেই বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দু ' হাত তুলে দোয়া করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর ৫ (হাজীগঞ্জ -শাহরাস্তি) এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তাঁর নির্বাচনী এলাকার অসচ্ছল পরিবারগুলোর মাঝে আয়বর্ধক হিসেবে এককালীন ১০৫ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৩০ টি করে সোনালী মুরগী দিয়ে সহযোগিতা করেন। মুরগির সাথে ফিড, মুরগীর খাঁচা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণায় হাজীগঞ্জের অসচ্ছল ৫৫ টি তালিকাভুক্ত পরিবার প্রতি ৩০ টি সোনালী মুরগী দেয়া হয়েছে। মুরগির সাথে পরিবারগুলোকে একটি করে খাঁচা, ঔষধ ও এক বস্তা করে খাবার দেয়া হয়েছে।