প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কচুয়ায় অবস্থিত চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর গ্রুপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মী চরম উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়। আহতরা হচ্ছে : চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাকিল হোসেন (২১), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি (২২), সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম (২২) ও শেখ সজিব (২২)।
আহত ফজলে রাব্বি জানান, দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়ার আনন্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে স্লোগান দিয়ে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি। এ সময় সেলিম মাহমুদ গ্রুপের শেখ সজিবের নেতৃত্বে নূর মোহাম্মদ (২০), জুনাইদ (২০), জাহিদ (২০), রায়হান (২০) ও রাকিব (২০)সহ ২০-৩০জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আরো জানান, বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দীন প্রবাসে চলে যাওয়ায় শূন্য পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মাঝে এ সংঘর্ষ বাঁধে। শাকিল বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যায়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহত শাকিল, ফজলে রাব্বি ও রবিউল ইসলাম ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সমর্থক এবং শেখ সজিব ড. সেলিম মাহমুদের সমর্থক।
এই বিষয়ে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এই হামলায় জড়িতদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এমপির সাথে পরামর্শক্রমে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন জানান, ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।