প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ঈশানবালার এক রাস্তায় সহস্রাধিক মানুষের দুর্ভোগ
জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে
হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি নিদারুণ অবহেলায় হাঁটাচলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় রাস্তাটি মেরামতের অভাবে এখন বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ছোট-বড়ো, বয়োবৃদ্ধ, শিশু ও মহিলাদের হাট-বাজারে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এ কাঁচা রাস্তা। স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও এ রাস্তায় যাতায়াত করে। কিন্তু কাদা পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় এখানকার সর্বসাধারণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
২ জুলাই মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা বাজার থেকে টেকের বাজার যাওয়ার এ রাস্তাটির প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মিটার পর্যন্ত কাদা পানিতে একাকার। চলাচলের অযোগ্য প্রায় ৪০০ মিটার রাস্তা। সাধারণ মানুষের বাজারে যাওয়া আসা কিংবা কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়া উভয়ই ব্যাহত হচ্ছে এ রাস্তার ভোগান্তিতে।
জানা যায়, এ কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি নিয়ে স্থানীয়রা কয়েকবার ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বারের কাছে যান। তিনি বারংবার আশ্বস্ত করলেও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি ২নং ওয়ার্ডে বসবাস করা ভুক্তভোগী জনসাধারণের। বর্ষা মৌসুম এলেই এ রাস্তাটি নিয়ে বিপাকে পড়েন এখানে বসবাস করা সহস্রাধিক মানুষ। যথাসম্ভব দ্রুত এ রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযুক্ত করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বার জানান, রাস্তাটি কয়েকবারই সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম এলেই পানি ও কাদা একাকার হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঈশানবালা বাজার থেকে আধা কিলোমিটার পর্যন্ত ইটের সলিং করা হলেও সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলেনি। পরে রাস্তাটির ব্যাপারে উপজেলার এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। তারা এসে রাস্তার মাপ নেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন বলে আমাদেরকে জানান।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান সউদ আল নাছের বলেছেন, রাস্তাটি পিচ ঢালাই হবে। কাজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারি কাজ, তাই ধীর প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগতে পারে।
তিনি জানান, আমরা উন্নয়ন তহবিলে ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। ইতিপূর্বে মেম্বার নিয়ে বসে রাস্তাটির বিষয়ে কথাও বলেছি। এ রাস্তা পাকাকরণের পূর্বে হাঁটাচলার উপযুক্ত করতে কিছুটা মেরামত কাজ করবো, সম্ভব হলে সমস্ত রাস্তাটি সাময়িক চলাচলের জন্যে ইটের সলিং করে দেওয়া হবে।