প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী-দলের ব্যয় প্রকাশের দাবি টিআইবির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং দলগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের বিবরণী নির্বাচন কমিশন প্রকাশ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার (২৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অবিলম্বে প্রার্থী ও দলের ব্যয়সংক্রান্ত সকল তথ্য উন্মুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ব্যয় বিবরণী প্রকাশ না করার বিষয়ে টিআইবি বলছে, এই গোপনীয়তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন অমান্য করেছে। অন্যদিকে, যে সকল প্রার্থী ও দল যথাসময়ে তথ্য জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কমিশন গ্রহণ করেছে- এমন তথ্য নেই। যা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রত্যাশিত নয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (৪৪গ) ধারার বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা বাধ্যতামূলক। দাখিলে ব্যর্থ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। একই আদেশের (৪৪গগ) ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয় এবং দাখিলে ব্যর্থ দলগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
এছাড়া, আদেশের (৪৪ঘ) অনুসারে প্রার্থী ও দলের ব্যয় বিবরণীর নথি জনগণের কাছে উন্মুক্ত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সে হিসেবে প্রার্থীদের ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৭ এপ্রিল।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ দ্বারা নির্ধারিত আইনগত বাধ্যবাধকতার এমন লঙ্ঘন, যা নাগরিকদের প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত করছে, জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পথ বন্ধ করছে, যা গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতা গভীরতর ও ব্যাপকতর করছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।