প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও পুরাণবাজার ঘোষপাড়ায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার বাৎসরিক ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরাণবাজার ঘোষপাড়া সার্বজনীন কালী পূজা কমিটির সহযোগিতায়, ঘোষপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ সংলগ্ন স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ। তিনি লোকনাথ বাবার সাধনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাঁর জীবদ্দশায় যে সাধনা করে গেছেন, তা মানুষের মঙ্গলের জন্যে। বাবা লোকনাথের মহিমা আজ ঘরে ঘরে প্রচারিত। তাঁকে যে যেভাবে আরাধনা করেন, তিনি তাঁকে সেভাবেই কৃপা করেন বলে ভক্তহৃদয় বিশ্বাস করে। আজকের এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আমাদের প্রার্থনা হোক, আমরা যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। তিনি যেন সকল সৃষ্টির সহায় হোন এবং আমাদের দুঃখ, দুর্দশা থেকে আমাদেরকে মুক্ত রাখেন।
মন্দির কমিটির কর্মকর্তা জুয়েল কান্তি নন্দুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথির মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, ঘোষপাড়া কালী পূজা কমিটির সভাপতি বিপ্লব কুমার গোপ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ, সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটির সহ-সভাপতি মানিক ঘোষ, কালী পূজা কমিটির অভি ঘোষ, সঞ্জয় ঘোষ প্রমুখ।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনকে কেন্দ্র করে উপবাসী ভক্তগণ সন্ধ্যার পূর্ব থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হন এবং সারিবদ্ধভাবে বসে সান্ধ্যকালীন সময় পারিবারিক ও নিজেদের সুখ-শান্তি কামনা পূর্বক দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দীর্ঘ দুঘন্টা যাবত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে একাগ্র চিত্তে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর চরণে প্রার্থনা করেন এবং ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে অনুষ্ঠানস্থল থেকে কিছু দূরে মেঘনা নদীতে প্রদীপ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পরে উপবাসী ভক্তসহ সকলের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন রির্তিক চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক ভক্ত সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়।