প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা যুবলীগও গতকাল ১১ নভেম্বর আয়োজন করেছে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি।
চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডস্থ জেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।
জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন পাটওয়ারী।
জেলা যুবলীগের সদস্য কাউছার আহমেদ সোহাগ পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ নেতা অ্যাডঃ খালেদ মোশাররফ, অ্যাডঃ মামুন চিশতি, নাজমুল হক খোকা, রিপন ভদ্র, শেখ শরীফ, পারভেজ করিম বাবু, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি নূর মোহম্মদ পাটওয়ারী, যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিকি, শেখ মহসীন, মোঃ মামুন মিজি, খোরশেদ আলম বাবু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আজ গণমানুষের কাছে একটি বিশ্বস্ত দল হিসেবে বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। দলটির রয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্য। দেশের কল্যাণকর সকল কাজে আওয়ামী যুবলীগ কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কাজ করেছেন মানুষের জন্যে, দেশের জন্যে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে পুনঃগঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুব সম্প্রদায়কে দেশের কাজে লাগাতে চেয়েছেন। তার সেই চিন্তা চেতনা থেকেই তিনি গড়ে তোলেন আওয়ামী যুবলীগ। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি। তাঁর নেতৃত্বেই দেশের উন্নয়নে মানুষের কল্যাণে যুবলীগ কর্মীরা কাজ করে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মারা যারা এই দেশে চোরের মতো ঘাপটি মেরে বসেছিলো, সেই নরপশুরা হত্যা করে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে। একইদিনে তারা হত্যা করে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনিকে। সেই দিনের ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা এখন একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে। তারা এখনো মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তারা আন্দোলনের নামে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নি সন্ত্রাস, মানুষকে পুড়িয়ে মারা এবং যানবাহনের ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের এই অন্যায় অত্যাচার কোনোদিনই মেনে নেবে না। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্যে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবে। দেশের প্রয়োজনে, মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী আগেও কাজ করেছে আগামীতেও সেভাবে কাজ করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিটি কর্মী কোনো ব্যক্তি বিশেষের হয়ে কাজ করে না। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে তারা সকল সময়েই সোচ্চার ছিল এবং আছে ও থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয় এবং জেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে আনন্দ র্যালি বের করা হয়।