প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একজন সভাপতির প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রমে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। শিক্ষানুরাগী ও তরুণ ব্যবসায়ী এমআর শামীম বালিয়া ইউনিয়নের সন্তান এবং এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের একজন ক্রীড়া সামগ্রী ব্যবসায়ী হিসেবে খুবই পরিচিত। বাংলাদেশ স্পোর্টস্ গুডস্ মার্চেন্টস্, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিদ্যালয়ের আগে ছিলেন বিদ্যোৎসাহী সদস্য, এখন তিনি সভাপতি। তিনি সভাপতি হবার পর থেকে স্কুলের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে উন্নত মানের বিগ হোয়াইট বোর্ড, অত্যাধুনিক ক্যানন ফটোকপি মেশিন, অর্ধশত নতুন ফ্যান, লাইটসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক জিনিস চালানোর জন্যে হাই পাওয়ার জেনারেটর, বিদ্যালয়ের নিজস্ব অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্যে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানি পান করার জন্যে পঞ্চাশ লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পিউর ওয়াটার মেশিনও সংযোজন করা হয়েছে বিদ্যালয়ে।
অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার সকল প্রশ্ন এ ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে ফটোকপি করা হয়, যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়। তীব্র গরমে যেন শিক্ষার্থীরা কষ্ট না পায় সেজন্যে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা, পিছনের শিক্ষার্থীদের লেখা বুঝতে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্যে বড় আকারে হোয়াইট বোর্ডের ব্যবস্থা করা, অ্যাসেম্বলি, বিভিন্ন জাতীয় প্রোগ্রাম ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রোগামে সাউন্ডে যেন ত্রুটি না ঘটে তার জন্য অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছেন এসএমসির সভাপতি এম আর শামীম। তিনি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির মাধ্যমে এ বিদ্যালয়ের জন্য বহুতল বিশিষ্ট নতুন একটি একাডেমিক ভবন চেয়েছেন। সেটির অনুমোদন পেলে ফরাক্কাবাদ হাই স্কুলের চেহারাই পাল্টে যাবে-- এমনটি মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।