শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২২, ০০:০০

সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলছে মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষামন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় খুব কম সময়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে পড়ালেখার জন্যে শিক্ষার্থীরা একটি মনোরম পরিবেশ পেয়েছে। গত দুই বছর করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা শরীরে ক্লাসে উপস্থিত হতে না পারলেও অনলাইন পাঠদান অব্যাহত ছিলো। এ বছর এসব সমস্যা কাটিয়ে খুবই সুন্দর পরিবেশে চলছে প্রতিটি শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টিতে প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিতরা শিক্ষার সুযোগ পেয়ে আসছে। এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে তারা দেশ ও বিদেশে বড় বড় দায়িত্ব পালন এবং সুনাম অক্ষুণœ রেখেছে। গ্রামের এই বিদ্যালয়টি থেকে এসএসসি পাস করে অনেকেই চাঁদপুর সরকারি কলেজ, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলোতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।

বিদ্যালয় শ্রেণী কক্ষগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা পর্যাপ্ত। তবে ছাত্র থেকে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। সরকার নারী শিক্ষা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কারণে ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র সংখ্যা ৩০৪ এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩৭৩জন। গড়ে প্রতিদিন ৮০% শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। তবে এই সংখ্যা কমণ্ডবেশি হয়।

নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফখরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের এখন মনোরম পরিবেশ হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর তারা এখন নিয়মিত ক্লাস করতে পেরে খুবই আনন্দিত। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, শিক্ষকের পাঠদান বুঝে কিনা? সে জানায়, শিক্ষকরা খুবই আন্তরিকভাবে পাঠদান করেন। আন্তরিকতার কোনো ধরনের কমতি নেই।

দশম শ্রেণীর ফরিহা (রোল নম্বর ২৬)ও স্মৃতি রাণী (রোল নম্বর ৭) জানান, তারা বাড়িতে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ঘন্টা অধ্যয়ন করেন। তবে সামনে যেহেতু তাদের এসএসসি পরীক্ষা, যার কারণে অধ্যয়নের সময়টা আরো বাড়াবে। তবে ওই শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থীকে আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক জানালেন এই বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যালয়ে আসলে দেখা যায় মনোরম পরিবেশ। আমরা ছোট বেলায় এমন পরিবেশ পাইনি। তবে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে খেলাধুলায় আরো এগিয়ে আসতে হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ সকলে আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে। শিক্ষকের অভাব আছে, সেই সমস্যা সমাধানে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমানে শিক্ষক আছে ১১জন। কর্মচারী ৬জন এবং নন এমপিও শিক্ষক আছে ৩জন। দুজন শিক্ষকের অভাব আছে। ২০১৯ সালে এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ, ২০২০ সালেও শতভাগ এবং ২০২১ সালে ৯৯.৯৮%।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কামরুজ্জামান সোহাইল বলেন, গত দুই বছর আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত ছিল দেশ। তারপরেও আমরা বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত ছিল। গত দুই বছরে ফলাফলও সন্তোষজনক। বিদ্যালয়ের অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির সার্বিক সহযোগিতায় পশ্চিম পাশে ৩তলা ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেখ রাসেল আইটি ল্যাব স্থাপন হয়েছে। বিগত দিনে চাহিদা অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেটিও মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুসারে করা হবে। সকলের সহযোগিতা পেলে অব্যশই এই বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সূত্র : ফোকাস মোহনা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়