ফরিদগঞ্জে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের আশার প্রদীপ হয়ে আলো ছড়াচ্ছে সামাজিক ও মানবিক সংগঠন ‘সময়ের বাতিঘর’ ফাউন্ডেশন। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি করোনাকালীন সময়সহ বিভিন্ন সময়ে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বার বার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে গিয়ে ২ দিনের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে ৬ শতাধিকেরও বেশি মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। একই মাসে লাউতলী বড় মিয়া সাহেবদের বাড়ির রহিমা বেগম অর্থাভাবে পাইলসের অপারেশন করতে না পারায় সময়ের বাতিঘর ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতালে তার অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের মাহিন নামক একটি কিশোর গাছ থেকে পড়ে গেলে পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়, সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার পায়ের হাড় সঠিকভাবে জোড়া লাগেনি। এই সংগঠনটির ব্যবস্থাপনাতেই ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফরিদগঞ্জের লাইফ জেনারেল হাসপাতালে মাহিনের পায়ের প্রথম অপারেশন এবং পরবর্তী মাস মার্চের প্রথম সপ্তাহে মাহিনের পায়ের ২য় অপারেশন করা হয়।

এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে সংগঠনের প্রতিনিধিরা লাউতলীতে অর্ধশত পরিবারকে একান্ত গোপনীয়তায় রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ ইফতারের প্যাকেজ প্রদান করে। তাছাড়া সারা বছরব্যাপী সংগঠনটির ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন এবং অক্সিজেন লেভেল পরিমাপ সেবা অব্যাহত রয়েছে।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক কাজী আবু জাফর এবং সদস্য সচিব নাজমুল হাসান লিটন চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্টগুলোকে কিছুটা কমিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আমরা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষগুলোকে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং সময়োপযোগী মানবিক কার্যক্রমে মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এবারও রমজানের পূর্বে ৬৮টি পরিবারকে ইফতারের প্যাকেজ প্রদান করেছি, যার প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য ছিলো পাঁচ হাজার টাকা। আমি এবং আমার ভাই মাসুদ মিলে তার ব্যবস্থা করেছি। এভাবে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সময়ের বাতিঘর ফাউন্ডশনকে মাধ্যম হিসেবে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।