প্রকাশ : ০৯ মে ২০২২, ০০:০০
মাঝে মাঝে পরাজয়ের ভেতরে লুকিয়ে থাকে বিশাল বিজয়। যা আমাদের চিন্তারও বাইরে। কথাটি পরোক্ষ হলেও মাঝে মাঝে প্রকৃতির কল্যাণে তা দৃশ্যমানও হয়। পরাজয়ের মাঝেও যে বিজয় থাকে তারও উদাহরণ রয়েছে। টাইটানিক জাহাজের আরোহীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে জ্যাকের কাছে যে ব্যক্তি পরাজিত হয়েছে প্রকারান্তরে সে-ই কিন্তু বেঁচে গিয়ে বিজয়ী হয়েছে। সাময়িক পরাজয়ে হতাশ না হয়ে লক্ষ্যে স্থির থাকতে হয়। পরাজয়ই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পরাজয় নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। কথাগুলো ‘সোসাইটি ফর বিউটিফুল চররামপুর’ সংগঠনের অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত এক বক্তার।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪নং ইউনিয়নে চর বেষ্টিত একটি গ্রাম চররামপুর। চর আর ডাকাতিয়া নদীর সাথে গ্রামের মানুষদের মিতালী শতাব্দীকাল। এ গ্রামের সোনালি সন্তানদের সৃষ্টি ‘সোসাইটি ফর বিউটিফুল চররামপুর’। এই ব্যানারে তারা প্রতিবছর সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান করে আসছে।
ঈদের ২য় দিন ৫ মে বৃহস্পতিবার সংগঠনটি দিনব্যাপী বিশাল অনুষ্ঠান সাজায়। একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এ ধরনের অনুষ্ঠান, যা বিস্ময়কর। তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে এলাকারই কৃতী সন্তানদের একত্রিত করা সুন্দর চিন্তারই ফসল। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে টানা অনুষ্ঠান চলে রাত পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের কো-চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্সপেক্টর অব ট্যাক্স (অবঃ) মোঃ মফিজুর রহমান মিয়াজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ ওয়াহিদুর রহমান রানা, ইস্পাহানি গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ কামরুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক হাফিজ আহাম্মদ, শিক্ষক মোঃ আবু জাফর, মোঃ শাহনেওয়াজ পাশা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেডে প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুহাম্মদ আবদুল আজিজ। এছাড়াও অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মশিউর রহমান মিটু প্রমুখ।
তিন পর্বের অনুষ্ঠানে অতিথিরা আরো বলেন,‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। যে স্বপ্ন দেখে না সে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখি সেটা স্বপ্ন নয়। যে স্বপ্নের কারণে ঘুমাতে পারি না সেটাই স্বপ্ন। আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে। তরুণরাই পারে কোনো ভঙ্গুর সমাজকে উদ্ধার করতে, আলোর পথ দেখাতে।