চাঁদপুর শহরের ১৫নং ওয়ার্ডের জিটি রোডে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জহিরুল হক মোল্লার সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা এবং তার স্ত্রী ও ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ওপর হামলা ও সম্পত্তি দখল করার চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

৪ মে বুধবার দুপুরে উত্তর জিটি রোডের আখন্দ বাড়ির কিছু লোক বহিরাগত লোক নিয়ে উক্ত জায়গা দখলে অতর্কিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটায়। তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক মোল্লার স্ত্রী ও ছেলে মাজহারুল হক মাহির ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার জন্যে একাধিক বাঁশ পুঁতে দেয়।

এ সময় তাৎক্ষণিক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে পুলিশি সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে সন্ত্রাসী ও দখলবাজ চক্র তাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় হামলাকারী ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করার জোর দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হকের স্ত্রী জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বারেক আখন্দ বাড়ির বশির, নাসির, মৃত সিরাজ আখন্দের ছেলে সজীব, সবুজ, রাজিব শহীদ আখন্দের ছেলে শাকিল বহিরাগত লোকজন এনে অতর্কিতভাবে জোরপূর্বক জায়গা দখল করার পাঁয়তারা করে। এ সময় তাদের বাধা দিলে তারা শারীরিকভাবে আমাদেরকে লাঞ্ছিত করে ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। এছাড়া এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানাই। তারা জায়গা জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করছে। এই ঘটনাটি ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় সালিসদের অবহিত করা হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না মর্মে হুমকি দিচ্ছে। এ হামলার ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জহিরুল হক মোল্লার কিছু সম্পত্তি পাশের আখন্দ বাড়ির লোকজন নিজেদের বলে দাবি করে আসছে এবং আদালতে দুটি মামলাও করেছে। ওই মামলা চলামান থাকা অবস্থায় তারা আবার জোরপূর্বক জায়গা দখলের জন্যে বাঁশ পুঁতে দেয়।