প্রকাশ : ০৯ মে ২০২২, ০০:০০
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ১৬১তম জয়ন্তী উদ্যাপন করেছে চাঁদপুরের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার ধারক ও বাহক চাঁদপুর সংগীত নিকেতন। ‘চির নতুনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল ৮ মে রোববার চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডস্থ সংগঠনের নিজস্ব ভবন চন্দ্রকান্ত সাহা মিলনায়তনে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাহিত্যে এমন কোনো স্থান নেই যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়া লাগেনি। তাঁর জন্ম না হলে আমরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হতাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন-এটাই আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। তাঁর সাহিত্য ভা-ার অমূল্য সম্পদে পরিপূর্ণ। যা থেকে আমরা জ্ঞান আহরণের মধ্য দিয়ে এ সমাজের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে পারি। তিনি প্রাচ্যের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত সমাজে পরিণত করতে হলে আমাদেরকে সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন হতে হবে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শিল্প সংস্কৃতি এমন এক সম্পদ, যার সংস্পর্শে মানুষের আসুরিক চিন্তাণ্ডচেতনার বিনাশ ঘটে। তিনি সংস্কৃকি অঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমাজ সচেতন ব্যক্তিদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্ত। সংগীত নিকেতনের শিক্ষক বিমল চন্দ্র দের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন গীটার শিল্পী দিলীপ ঘোষ, রফিকুজ্জামান রনি, সজীব মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পী, কলাকুশলী, অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গসহ সংগীত পিপাসুদের ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হয়ে উঠে। উৎসবে রূপ নেয় আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
সংগীত নিকেতনের সাংস্কৃতিক শিক্ষক বিনা মজুমদার, রিয়া চক্রবর্তী, নৃত্য শিক্ষক আভা রায় অপু ও কাব্য কণিকা ঘোষের পরিচালনায় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রাচী, সুমেধা, বর্ণালী, অহনা, রিচি, দীপা, রাহুল, দিঘি, তনয়, মৌমিতা, পূজা নবনীতা, তন্দ্রা, রুপঞ্জনা, প্রত্যাশা, অনমূয়া, অথই, প্রতিভা, রুদ্রনীল, সিমন্তী, অর্ঘ্য, পারমিতা, রিয়া, শংকর আচার্য্য, শান্তি রক্ষিত, তানজিলা, কামরুল, রিচি, প্রাচী প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন কাব্য কণিকা ঘোষ। অনুষ্ঠানে যন্ত্র সংগীতে সহযোগিতা করেন শিক্ষক দীপক চক্রবর্তী, সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শিক্ষক শান্তি রক্ষিত এবং মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন শিক্ষক অমল সেনগুপ্ত ও পলাশ সেনগুপ্ত। আর আলোক সজ্জায় ছিলেন দ্বৈপায়ন দাস সেতু।
