বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

পাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে সৎ পথে চলতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার ॥

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ব্যাপক ভক্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর অন্যতম আচার্য জিবিসি ও দীক্ষাগুরু শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের ৭৩তম শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ব্যাসপূজা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্রী শ্রী গোবিন্দ মন্দির (ইসকন) চাঁদপুরের উদ্যোগে গত ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার চাঁদপুর পুরাণবাজার ঘোষপাড়া শ্রী শ্রী গোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের আগত ভক্তবৃন্দ পরমারাধ্য গুরুদেব জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকে। এ সময় তাদের ভক্তি আর শঙ্খ উলুধ্বনিতে মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে। গুরু মহারাজের আবির্ভাব তিথি আর ব্যাসপূজা উপলক্ষে গোবিন্দ (ইসকন) মন্দির প্রাঙ্গণে ভোর সাড়ে ৪টায় মঙ্গল আরতি, সকাল সাড়ে ৭টায় দর্শন আরতি, গুরু পূজা, ভাগবত পাঠ, সকাল ১০টায় গুরু বন্দনা, ভজন কীর্তন, সকাল সাড়ে ১১টায় অভিষেক ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, দুপুর ১২টায় গুরু মহারাজের নিকট চরণাশ্রয় গ্রহণ, দুপুর সোয়া ১২টায় গুরু মহারাজের মহিমা কীর্তন, দুপুর দেড়টায় বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের মহারাজ ও পুরোহিতদের সম্মাননা প্রদান, দুপুর ২টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ, বিকেল সাড়ে ৪টায় ভজন কীর্তন, বিকেল ৫টায় গুরু মহারাজের মহিমা কীর্তন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তুলশী আরতি, গৌর আরতি ও নৃসিংহ আরতি এবং রাত সাড়ে ৮টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুরে বিভিন্ন মঠ, মন্দিরের মহারাজ ও পুরোহিতদের মাঝে সম্মাননা প্রদানকালে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ ইসকন চাঁদপুর জেলার সভাপতি ও পুরাণবাজার গোবিন্দ মন্দির ইসকনের অধ্যক্ষ জগদানন্দ প-িত দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা, সাবেক মঠ মন্দির সংরক্ষণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল চন্দ্র রায়, পুরাণবাজার শ্রী শ্রী রাধা মুরারি মোহন জিউড় মন্দিরের অধ্যক্ষ সদানন্দ দাস বাবাজী, চাঁদপুর মহাশ্মশান কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অভিজিৎ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সংগঠক রতনেশ্বর দাস প্রমুখ।

বক্তাগণ গুরুদেবের আবির্ভাব তিথি এমন সুন্দরভাবে পালনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সকল মানুষেরই উচিত গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। গুরুদেব আমাদিগকে জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটান এবং সৎ পথের সন্ধান দান করেন। শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ একজন আধ্যাতিক সাধক, যিনি মানুষকে অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আর সৎ পথে চলতে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। আজ দেশ বিদেশে তার প্রচুর ভক্ত রয়েছে, যারা জয় পতাকা স্বামী মহারাজের কৃপায় ধন্য হয়েছেন, পেয়েছেন আলোর দিশা। আজকে আমরা তাঁর শুভ জন্মতিথিতে, আন্তরিক শ্রদ্ধার সাথে তাকে প্রণাম জানাই। প্রতিটি কর্মের সাথেই ভালো-মন্দ বিরাজমান থাকে। আমরা যতই অর্থ বিত্তের মালিক হই না কেনো, সকলের মাঝেই বিরাজ করে দুঃখ, দুর্দশা, হতাশাসহ নানা কষ্ট যন্ত্রণা। জড় জগতের এ সকল দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে হলে সকলকে সৎ পথে পরিচালিত হতে হবে। ধর্মের প্রতি অনুরাগী হতে হবে। তাহলেই মনে শান্তি লাভ করা যাবে।

অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা জর্জ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়