প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৪
সবজি বাজার চৌধুরী ঘাটে স্থানান্তর করা হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে
পালবাজারের সামনে সড়কে মালামাল ওঠানামায় নিত্য যানজট
চাঁদপুর শহরের পালবাজারের সম্মুখস্থ মিজান চৌধুরী সড়কের সঙ্কীর্ণ পরিসরে যানবাহনে মালামাল ওঠানামা করায়, বিশেষত সবজি বাজারের অবস্থান হওয়ায় নিত্য যানজট লেগেই থাকে। সেজন্যে সবজি বাজার চৌধুরী ঘাটে স্থানান্তর করা হলে বকুলতলাবাসীসহ জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে এবং পাশাপাশি যানজট কমে যাবে বলে অতি সাধারণ মানুষ বুঝলেও যারা বোঝার তারা বুঝছেন না কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন।
পালবাজারের পশ্চিম পাশ দিয়ে বকুলতলা সড়কের অবস্থান। দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে চৌধুরীঘাট ও স্ট্র্যান্ড রোডের অবস্থান। এসব স্থান দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণকে পালবাজারের সম্মুখে এসে দুর্ভোগ কবলিত হতে হচ্ছে। ভোরের আলো ফোটার পর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সবজি ব্যবসায়ীরা সড়কটি দখল করে গদি ঘরে সবজি ওঠানামা করিয়ে থাকে। আবার গদি ঘর থেকে সবজি অটোবাইক, ভ্যান গাড়ি ও রিক্সায় করে নিয়ে যাওয়া হয়। সড়কের ওপর গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রেখে
সবজি লোড আনলোড করার কারণে যানজট লেগেই থাকে।
দীর্ঘদিন যাবত এই স্থানে জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি। দিন দিন দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়ে চলছে।
সরজমিনে দেখা যায়, পালবাজারের ১নং গেট হতে বকুলতলা সড়কের মাথা পেরিয়ে পূবালী ব্যাংক পর্যন্ত সড়ক দখল করে মুদি ব্যবসায়ী ও কাঁচা সবজির ব্যবসায়ীদের গাড়িতে মালামাল লোড আনলোড করা হচ্ছে। এমনকি সড়ক জুড়ে রাখা থাকে কাঁচা শাকসবজি, যেখান থেকে চলে বেচা-বিক্রি। পাশাপাশি বকুলতলা সড়ক প্রায় পুরোটা দখল করে রেখেছে সবজি ব্যবসায়ীরা। পালবাজারের ১নং গেট হতে স্ট্র্যান্ড রোডে ও চৌধুরী ঘাটে প্রবেশ করার মুখে ব্রিজের গোড়ায় যানজটের জটলা লেগে থাকে সবজি ও মুদি মালামাল ওঠানামার কারণে। চৌধুরী ঘাটের বিশালাকার স্থানে পালবাজারের সবজি বাজার স্থানান্তর করা হলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করাসহ জনদুর্ভোগ লাঘব হবে বলে সচেতন মহল জানান।
এ ব্যাপারে সবুজ, জসিম, হাবিব খান বলেন, সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পালবাজারের দু পাশ সবজি ও সবজির গাড়ি দিয়ে দখল করে রাখা হয়। এতে আমাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় সবজির গাড়ি না সরানো পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
পালবাজারের এই সবজি বাজারটি চৌধুরীঘাটে স্থানান্তর করা হলে সর্বসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।। এ ব্যাপারে সিএনজি অটোরিকশা চালক নাছির, সোহাগ, হাছান ও শরীফ বলেন, স্ট্র্যান্ড রোড, চৌধুরীঘাট ও ৫নং ঘাটে যাত্রী নিয়ে যেতে হলে পালবাজারের সবজির গাড়ি সড়কের ওপর রাখার কারণে লেগে থাকা যানজটে আটকে যেতে হয় এবং দুর্ভোগের শিকার হয়ে কালক্ষেপণ করতে হয়। সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এখানে সবজি আনা নেওয়া করা হয়। সবজির বাজার চৌধুরী ঘাটে নিয়ে গেলে সুবিধা হবে।
এ ব্যাপারে টিআই আমিনুল ইসলাম বলেন, সড়কটি যানজট মুক্ত করার জন্যে আমরা মালামাল সরিয়ে দেই। পরে তারা পুনরায় বসে।