শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে ১১ রেল স্টেশনের পাঁচটিই বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে ১১ রেল স্টেশনের পাঁচটিই বন্ধ

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চাঁদপুর অংশ ৫১ কিলোমিটার। স্টেশন আছে ১১টি। এর মধ্যে বর্তমানে ছয়টি সচল থাকলেও জনবলের অভাবে বাকি পাঁচটি রেল স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এক সময় বাণিজ্যিকভাবে মালামাল পরিবহনের জন্য ট্রেন থাকলেও এখন বন্ধ। মাল পরিবহনের ঐ রেললাইনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয়রা যে যার মতো দখল করছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার রেল এলাকা ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রেলওয়ে চাঁদপুর স্টেশন মাস্টারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চাঁদপুর অংশে রেল স্টেশনগুলো হচ্ছে চিতষী, মেহার, শাহরাস্তি, ওয়ারুক, হাজীগঞ্জ, বলাখাল, মধুরোড, শাহতলী, মৈশাদী, চাঁদপুর কোর্ট ও চাঁদপুর স্টেশন। এর মধ্যে কার্যক্রম চালু আছে চিতোষী, মেহার, হাজীগঞ্জ, মধুরোড, চাঁদপুর কোর্ট ও চাঁদপুর স্টেশন। এক সময় চাঁদপুর-লাকসাম, চট্টগ্রাম, ভৈরব ও সিলেটের মধ্যে ৮টি ট্রেন চলাচল করত। কিন্তু এখন মাত্র ২টি ট্রেন চলাচল করে। ২টি ট্রেনই চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চালু রয়েছে। একটি আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস এবং অন্যটি সাগরিকা এক্সপ্রেস। বাকি লোকাল ৬টি ট্রেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে।

মৈশাদী রেল স্টেশন এলাকার বাসিন্দা মির্জা জাকির বলেন, আমাদের মৈশাদী রেল স্টেশনে কখনই সরকারি লোকবল ছিলো না। যখন লোকাল ট্রেন চলাচল করত, তখন স্বেচ্ছাশ্রমে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা ছিলো। এখন স্টেশন আছে, জনবল নেই। বর্তমানে চলাচল করা দুটি ট্রেনের মধ্যে সাগরিকা এক্সপ্রেসে মৈশাদী স্টেশন থেকে যাত্রী চলাচল করতে পারছে। টিকিট ক্রয় করতে হয় ট্রেনে উঠার পর।

সরেজমিনে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের ছায়াবাণী মোড় থেকে জেলা খাদ্যগুদাম পর্যন্ত এবং চাঁদপুর স্টেশন থেকে পদ্মা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো পর্যন্ত রেললাইনগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত। পরিত্যক্ত রেললাইন এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা বেপারী বলেন, গত প্রায় ২০ বছর ধরে এ পথে কোনো ট্রেন আসে না। শহরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, এক সময় সার, কীটনাশকসহ অনেক পণ্যই মালবাহী ট্রেনে আসত। এখন মালবাহী ট্রেনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। যে কারণে এখানকার রেললাইন পরিত্যক্ত এবং অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) সোয়াইবুল সিকদার বলেন, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ৫১ কিলোমিটার অংশে ১১টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বর্তমানে সচল। জনবল সংকট থাকায় বাকি পাঁচটি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে, স্টেশনগুলো অবকাঠামগত কোনো সমস্যা নেই।

পরিত্যক্ত রেললাইন সম্পর্কে তিনি বলেন, এক সময় এ লাইনগুলো দিয়ে পণ্য পরিবহন হতো। কিন্তু জেলা খাদ্যগুদাম এখন নদী ও সড়ক পথে পণ্য পরিবহন করছে। আর পদ্মা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড নদীপথে জ্বালানি পরিবহন করছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে লাইনগুলো এভাবেই পড়ে আছে। তিনি জানান, খাদ্যগুদাম ও ওয়েল কোম্পানি আবারও পণ্য পরিবহনের জন্য আবেদন করলে লাইনগুলো চালু করা হবে। দীর্ঘ বছর লাইনগুলো ব্যবহার না করায় কোনো কোনো স্থানে অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হবে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়