প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
খুশির আমেজে ঈদ সমাগত
রমজান মাস যদি ২৯ দিনের হয় তাহলে আজ ০৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদের দেখা মিলবে। তখন আজকের রাতটি হবে ঈদুল ফিতরের রাত, যা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত। আর তখন আগামীকাল ১০ এপ্রিল বুধবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর যদি রমজান মাস ত্রিশদিন পূর্ণ হয় তাহলে আগামীকাল হবে ৩০ রোজা। তখন ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হবে ঈদুল ফিতর। আর এ সিদ্ধান্ত আজ সন্ধ্যার পরই জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির মাধ্যমে জানা যাবে।
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা শেষে ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদ উদযাপনে মানুষ সর্বশেষ প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। মা-বাবা-আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে লঞ্চ, ট্রেন, বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোযোগে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষজন ছুটে আসছে বাড়ি-ঘরে।
গত ক’দিন ধরে চাঁদপুর অভিমুখী লঞ্চগুলোতে অসংখ্য মানুষকে আসতে দেখা গেছে। এছাড়া বাস, ট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহনেও যাত্রীর সংখ্যা দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিক। লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে চাঁদপুরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে বেশ তৎপর। তাদেরকে সহযোগিতা করছে পৌরসভার নিয়োগকৃত স্কাউট সদস্যরা। গোয়েন্দা পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং পুলিশ সদস্যদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মোড় ও বড় বড় শপিং মার্কেটের সম্মুখে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান রমজানের শেষাংশ থেকেই দেখা যাচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনের বিশেষ সার্ভিস রাখা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে বাড়ি-ঘরে আসা মানুষজনের পদচারণায় চাঁদপুরের ছোট-বড় মার্কেটগুলো গত ক’দিন ধরে বেশ সরগরম। ঈদের সর্বশেষ কেনাকাটার জন্যে গত ক’দিন মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। চাঁদপুরে ঈদের জামাত আয়োজনের লক্ষ্যে ঈদগাহ ও মসজিদ প্রাঙ্গণে চলছে প্রস্তুতি। ঈদগাহগুলো প্রস্তুত করছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মসজিদগুলোকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। যদি বৃষ্টি হয়, সে কারণে ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে না পারলে মসজিদে আদায় করা যায়। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ প্রস্তুতি সভায় চাঁদপুর শহরের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।