প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১১ নভেম্বর। ২০০৪ সালের এই দিনে ভারতের নয়াদিল্লিস্থ অল ইন্ডিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এক সময়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী রাজনীতিতে প্রবেশ করে গড়ে তুলেছিলেন তাঁর জনপ্রিয়তা। শুধু আওয়ামী রাজনীতিতে নয়, বন্ধুপ্রতিম রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথেও গড়ে তোলেন আন্তরিক সখ্যতা। চাঁদপুরের সংবাদকর্মীদের কাছে জাকারিয়া চৌধুরী ছিলেন একজন গ্রহণযোগ্য ও শ্রদ্ধাভাজন জনপ্রিয় নেতা।
১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৬ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে নির্বাচনের পর থেকে জাকারিয়া চৌধুরী ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুরের আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৮ সালে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জাকারিয়া চৌধুরী ঝড় তুলেছিলেন সভাপতি প্রার্থী হয়ে। কিন্তু ওই সম্মেলনে আগত কাউন্সিলরদের ৭০ ভাগ সমর্থন থাকার পরও সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেননি। পরে দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ও নির্দেশে চাঁদপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলামকে সভাপতির পদে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।