শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড
মিজানুর রহমান ॥

চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীতে এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৭৪ ইলিশ জেলের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খুইয়েছেন তাদের জাল ও নৌকা। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গেলো ২ নভেম্বর। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় এখন মাছ ধরছেন জেলেরা আর আটক জেলেরা আছেন কারাগারে। অনেকে জামিনে বেরিয়ে আসছেন।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের ইলিশ অভয়াশ্রমে ২২ দিনের অভিযানে আটক এসব জেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় জেলা উপজেলা টাস্কফোর্সের মোবাইল কোর্ট। অনেকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও হয়। চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগের এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ৩ নভেম্বর শুক্রবার থেকে অভয়াশ্রম এলাকাগুলোতে মাছ ধরতে পারছেন জেলেরা।

১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলায় টাস্কফোর্স ৫৪৬টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে আটক ৩৭৪ জেলেকে ৮৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় এবং মামলা হয় ৪১৬টি। কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার।

এছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ২৪, মাছঘাট ৩৭০, আড়ত ২০৬৮ ও বাজার এলাকা ৮৯২ বার পরিদর্শন করেছে টাস্কফোর্স। অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে জব্দ হয়েছে ২ দশমিক ২৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ। আটক জেলেদের কাছ থেকে মৎস্য আইনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩২ টাকা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। অভিযানে মৎস্য বিভাগকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও কোস্টগার্ড সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আমরা ইলিশ ধরা থেকে বিরত জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছি। তাদের সচেতন করেছি। কারণ এসব ইলিশ ডিম ছাড়লে এবং বড় হলে তারাই ধরে লাভবান হবে। তারপরেও যারা আইন অমান্য করে মা ইলিশ ধরেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়