প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় চাঁদপুর শহরবাসী খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। রোববার ভোর থেকে চাঁদপুরে গ্যাস সরবরাহে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। কোথাও নিভু নিভু মতো চুলা জ্বলেছে, আবার কোথাও পুরোপুরি বন্ধ ছিলো। শনিবার বাখরাবাদের গ্যাস সরবরাহে রিজার্ভ গ্যাস পাওয়া গেলেও রোববার (১৪ মে) তা অনেকটা কমে যায়। গ্যাসের চুলানির্ভর বাসা-বাড়ি ও দোকানগুলোতে রান্না অনেক সমস্যা হয়। অনেকে ইলেকট্রিক ও লাকড়ির চুলায় সারছেন রান্নার কাজ। তবে চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কম ছিলো বলে জানিয়েছেন বাখরাবাদ চাঁদপুর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোঃ মোবারক হোসেন। বিকেল থেকে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়। গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে। আজকেও রোববারের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে তিনি জানান। মঙ্গলবার থেকে হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তাদের গ্যাস অফিসের আশপাশে শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় এবং হাজীগঞ্জের কিছু এলাকায় এখনো গ্যাস আছে। পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে ৬০ পিএসআই থেকে গ্যাস সরবারাহ ৪ পিএসআইতে নেমে এসেছে।
বাখরাবাদের ওই ব্যবস্থাপক আরো জানান, চাঁদপুরে মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে প্রায় ২৩ হাজার। এছাড়া ৫টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। চাঁদপুরে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট। দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চাঁদপুরে গ্যাসের এ সমস্যা কিছুদিন থাকবে বলে মনে করেন তিনি। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় চালু হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে গ্যাস সংকটের কারণে চাঁদপুরের সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক গাড়িতে গ্যাস নিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। চান্দ্রা-হাইমচর রূটের সিএনজি চালক রবিউল (৩৮) বলেন, শনিবার গ্যাস পেয়েছিলাম। রোববার সকালে স্টেশনে গেলাম, গ্যাস পাইনি।
পুরাণবাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী নাজমা বেগম বলেন, রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানাবো, দেখি চুলা জ্বলছে না। সকাল থেকে লাইনে গ্যাস নেই। গ্যাস না থাকায় রান্না করতে পারিনি। ননদ লাকড়ি চুলায় রান্না করে পাঠিয়েছে। এখনো গ্যাস নেই।
কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাস-সংকট থাকবে।