প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারেরর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে চাঁদপুরের আদালত। হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম. মাহবুব উল আলম লিপন ও পৌর ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে নির্যাতন মামলা করেছিলেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার। শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় পৌর হলরুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সংবাদকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করেন প্যানেল মেয়র-১ ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহিদুল আজহার।
কাউন্সিলর জাহিদুল আজহার লিখিত বক্তব্যে জানান, পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার গত ১৭ নভেম্বর পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় (নং-৩৫৩/২০২২) পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অভিযোগের সত্যতা প্রতীয়মান না হওয়ায় গত ১ মার্চ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।
জাহিদুল আজহার আরো বলেন, মিনু আক্তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব আইডিতে পোস্ট ও লাইভ এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও মিনু আক্তার মিথ্যা অভিযোগ এনে পৌর মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা মাননীয় আদালত কর্তৃক খারিজের মাধ্যমে সত্যের জয় সুনিশ্চিত হলো। এ সময় মিনু আক্তারের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও মেয়রের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করায় পৌরসভা ও পৌর পরিষদের পক্ষে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান প্যানেল মেয়র।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র-২ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন ও প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর-১ রোকেয়া বেগম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর-৪ নাজমুন নাহার ঝুমু, কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী, আলাউদ্দিন মুন্সী, সুমন তপদার, মোঃ শাহআলম, কাজী মনির হোসেন, সাদেকুজ্জামান মুন্সী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, বাজার পরিদর্শক খাজা সফিউল বাসার রুজমনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
