প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার কর্ণপাড়া গ্রামের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর সাধারণ সম্পাদক (চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন) মোঃ জাফর ইকবালের ছেলে মোঃ জামিল উদ্দিন শ্রাবণ গত ক’দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে। মোঃ জামিল উদ্দিন শ্রাবণ পঞ্চনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার সন্ধ্যায় মোঃ জাফর ইকবালের ̄স্ত্রী তার ছেলে ও মেয়েকে ঘরে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন। এমন সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ জাফর ইকবালের খোঁজে তার বাড়িতে আসে এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ছেলেমেয়ের শরীরে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় জাফর ইকবালের স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। সন্ত্রাসী দলে ৭-৮ জন লোক ছিল। মাথায় হেলমেট ও কালো কাপড় দিয়ে সবার মুখ বাঁধা ছিল। জাফর ইকবালের স্ত্রী জানান, যেহেতু রাজনীতির ছাত্রছায়ায় আগেও মোঃ জাফর ইকবালের সাথে বাক বিত-া হয়েছে। এলডিপির রাজনীতি নিয়ে মোঃ জাফর ইকবাল দেশছাড়া হওয়ার পরও ওরা ক্ষান্ত হয় নি এবং আমাকে হুমকি দিয়ে যায় যে, আমার স্বামী মোঃ জাফর ইকবালকে যদি উপস্থিত না করা হয় তা হলে তোমার সন্তানদের মেরে ফেলবো। তখন আমি বললাম যে, রাজনীতি করাটা কি অপরাধ? তখন তারা আমাকে বলে যে, এতো কিছু বুঝি না, তোমার স্বামীকে আসতে বলো। এর পরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমার ছেলে মোঃ জামিল উদ্দিন শ্রাবণকে বিকাল বেলা আমি দোকানে পাঠাই। এমন সময় কিছু কালো পোশাকধারী লোক দুটো মাইক্রোবাসে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে এখনও কোনো খোঁজ মিলেনি। একমাত্র ছেলের সন্ধানে আমি খালেদা বেগম আইনের দরজায় কড়া নাড়লেও সাড়া পাইনি কোথাও। স্থানীয় পত্রিকা সম্পাদকের সাথে আক্ষেপ নিয়ে আমি বলি যে, র্যাব, ডিবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবখানে গিয়েছি। শাহরাস্তি থানায় জিডি করতে গেলে সেখানে জিডি নেয়া হয়নি। এখনও খোঁজ-খবর নিচ্ছি, কিন্তু তারা কিছুই করে না। খালি বলে, হচ্ছে হবে। আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে? যদি বাবা রাজনীতি করার কারণে ছেলেকে গুম হতে হয়, তাহলে এদেশের বিচার বিভাগের কী অবস্থা! এ নিয়ে মামলা হলেও নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরু থেকে উদাসীন ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী মোঃ জাকির হোসেন। একে ন্যায় বিচারের চরম লঙ্ঘন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, গুম হওয়া ছেলেকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এবং তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে খুঁজে বের করার। এখন হয় তারা সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেনি, না হলে তারা সব তথ্য জানে কিন্তু বলতে চায় না। কেউ অপরাধী হলে তার বিচার করুক।
জিডি ৩১১/২৩