শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

সূর্যমুখী ফুলে স্বপ্ন দেখছেন প্রতিবন্ধী জসীম উদ্দিন
মাহবুব আলম লাভলু ॥

মতলব উত্তর উপজেলায় সূর্যমুখীর হাসিতে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। উপজেলার ছেংগারচর পৌর এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। ভোজ্যতেলের সংকটকালে এই তেলজাতীয় উদ্ভিদ সূর্যমুখী চাষ কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কৃষক জসীম উদ্দিন।প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপবান উদ্ভিদ সূর্যমুখী। কেউ কিনেন, কেউ চাষ করেন, আবার কেউ ফুলের সৌন্দর্য দেখেন। এজন্যে সবাই ফুলের কাছে ছুটে যান। আর এ ফুল যদি হয় শস্য ক্ষেতের সুন্দর হলুদ সূর্যমুখী, তাহলে তো কথাই নেই। এমনই চিত্র দেওয়ানজিকান্দি এলাকায়।সরেজমিনে দেখা যায়, দেওয়ানজিকান্দি গ্রামের কৃষক জসীম উদ্দিনের জমিতে সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল, সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে তার দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই অনেক মানুষ ভিড় করছেন।একগুচ্ছ ফুলের সঙ্গে দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে যেন হাসছেন। দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে মুঠোফোনে বন্দী করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো। সূর্যমুখী ওই ফুলের বাগানের আশেপাশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পুরো দিনই বাড়ছে মানুষের সমাগম। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখী ক্ষেত। সূর্যমুখী হাইসেন জাতের ফুল চাষ করে আশার আলো দেখছেন কৃষক মোঃ জসীম উদ্দিন।উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ব সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ভাঙানো যায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম এই তেলে। চলতি মৌসুমে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এই তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় দেওয়ানজিকান্দি গ্রামে ৩৮ শতাংশ জমিতে কৃষক জসিম উদ্দিন পরীক্ষামূলকভাবে তেলজাতীয় ফসল সূর্যমূখী হাইসেন জাতের চাষ করেছেন। এতে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। বাম্পার ফলনের ফুল ফোটায় সফলতার আলো দেখছেন তারা। প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখায় তাদের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাসি ফুটেছে। কৃষক মোঃ জসীমউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। আগামী দিনে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন, অনেকটাই শখের বশে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। বাম্পার ফলনের আশা করছি। আগামী দিনে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করবো।মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউউদ্দিন বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী দিনে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় যাতে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়, সেজন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের চাহিদা বেশি। তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়