প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রীদের নিরাপদে চলাচল, পারাপার, যান-মালের নিরাপত্তা জোরদার, রেলওয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের ৭০টি স্থানে ১৪০টি স্পিড ব্রেকার ও চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ২০টি স্থানে প্রকল্প গেইটে রেলক্রসিংয়ের দুপাশে ৪০টি স্পিড ব্রেকার ও ফেন্সিং বেড়া স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এরপর হবে বিভিন্ন স্থানের রেলক্রসিংয়ের পাশে ফেন্সিং ব্রেড়িয়ার নির্মাণ কাজ।
রেলওয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে, যাত্রীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এ কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ কাজ হবে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম-ফেনী-লাকসাম ও চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকায়। এ ৫০ লাখ টাকার কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছে চট্টগ্রাম রেলওয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিফাত এন্টারপ্রাইজ।
রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইদানীং দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন রেলওয়ের গেইট দিয়ে পারাপারের সময় রেলক্রসিংগুলোতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বেপরোয়াভাবে ঘটে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের সকল রেলগেইটে রেলক্রসিংয়ে স্পিড ব্রেকার স্থাপনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম রেলওয়ের আওয়াতাভুক্ত চট্টগ্রাম, ফেনী, লাকসাম ও চাঁদপুর এলাকার রেলওয়ের গেটগুলোতে রেলক্রসিংয়ের দুপাশে স্পিড ব্রেকার নির্মাণের জন্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
এ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। যে ২০টি যেসব স্থানে স্পিডব্রেকার নির্মাণ হচ্ছে সেগুলো হলো : লাকসাম, লাকসামের পেয়ারাপুর থেকে শুরু করে নাওড়া, চিতশী, উনকিলা, উয়ারুক ২টি স্থানে, কফি হাউজ, হাজীগঞ্জ ৩টি স্থানে, বদরপুর, বাকিলা, বলাখাল, মধুরোড, শাহতলী, মৈশাদী, ওয়্যারলেস গেইট, মিশন রোড, ছায়াবাণী গেইট ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন। ২০টি স্পিডব্রেকার নির্মাণ ছাড়াও চাঁদপুরের মিশন রোড, শাহরাস্তি, উয়ারুকসহ কয়েকটি স্থানের রেললাইনের পাশে কাটাতারের ফেন্সিং বেড়া স্থাপন করা হবে।
চাঁদপুর-লাকসামের বিভিন্ন স্থানের যানবাহন চালকদের সাথে আলাপকালে তারা অভিযোগ করে জানান, স্পিডব্রেকার ৬ ফুট প্রশস্ত ও উচ্চতা ৬ ইঞ্চি দেয়ায় পারাপারের সময় যানবাহনের পেছনের অংশের চেচিজ স্পিডব্রেকারের সাথে লেগে যায়। এতে করে যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ছে ও যানবাহনের ক্ষতিসাধন হচ্ছে প্রতিদিন। এ স্পিডব্রেকার কিছুটা নিচু করে দেয়া হলে যেমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ হতো তেমন যানবাহন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত।
এ বিষয়ে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ভূমির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এসএসএইও/ওয়ে মোঃ লিমন মজুমদার জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব স্পিডব্রেকার নির্মাণ কাজ চলছে। আমাদের দায়িত্ব শুধু তদারকি করা। এ বাইরে আমাদের এ ব্যাপারে অন্য কোনো দায়িত্ব নেই। তবে যাত্রী সাধারণের দিক বিবেচনায় নিয়ে এসব কাজ রাতে করানো হচ্ছে।