ফরিদগঞ্জের কামতায় গ্যারেজের দরজা ভেঙ্গে এক রাতে পাঁচটি অটোরিকশার ২০টি ব্যাটারি ও এক হোটেল ব্যবসায়ীর পালসার মোটরসাইকেল চুরির খবর পাওয়া গেছে। দুর্ধর্ষ এই চুরির খবর পেয়ে সুবিদপুর ইউনিয়নের কামতা বাজারে গেলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কামতা গ্রামের মোল্লা বাড়ির সাহেব আলী মোল্লা, পনিসাইর গ্রামের সর্দার বাড়ির রহিম সর্দার, বাসার সর্দারের বাড়ির দুলাল, পনিসাইর কুমার বাড়ির আহছানউল্লা, পনিসাইর মাইজের বাড়ির ইব্রাহিম জানান, কামতা বাজারের ব্রিজের পূর্ব মাথার গ্যারেজ প্রতিদিনের মতো অটোরিকশাগুলো রেখে বাড়িতে চলে যাই। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে পাঁচটি অটোরিকশার ২০টি ব্যাটারি নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজারমূল্য এক লাখ আশি হাজার টাকা।

অটোরিকশাগুলোর মালিক সাহেব আলী, রহিম, দুলাল, আহছানউল্লা, ইব্রাহীম বলেন, বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে অটোরিকশাগুলো ক্রয় করে তা চালিয়ে কোনো রকমে সংসার নিয়ে দিনাতিপাত করছিলাম। কিন্তু চোরের দল আমাদের গাড়ির ব্যাটারিগুলো নেয়ার কারণে বর্তমানে বেকার হয়ে পড়েছি।

অন্যদিকে একই রাতে কামতা বেপারী বাড়ির হোটেল ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এছাড়া গত কদিন আগে সাচনমেঘ ভূঁইয়া বাড়ির মঞ্জুর হোসেন ভূঁইয়ার টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে যায় এবং কদিন পূর্বে বাজারের ব্যবসায়ী বতু কসাইয়ের গরু চুরি করতে গেলে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে চোরের দল পালিয়ে যায়।

বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, তাদের ধারণা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার যেভাবে বেড়েছে তাতে মনে হয় এরাই এ ধরনের কাজ করতে পারে। তারা বলেন, এ এলাকায় পুলিশের টহল একেবারেই কম। পুলিশের টহল বাড়ালে এবং পুলিশ বাহিনীর প্রচেষ্টায় সন্ধ্যার পরে রাস্তা-ঘাটে এবং বাজারে উঠতি বয়সের ছেলেদের আড্ডা কমিয়ে আনতে পারলে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ এবং চুরি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তারা জানান।