প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ চরফতেজংপুর ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে ছোট আকারে একটি খালের সৃষ্টি হওয়ায় ইউনিয়নটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। আর মানুষজন চরফতেজংপুর বাজারে আসার তাগিদে পূর্বে নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হলেও সময়ের ব্যধানে এখন আর সেই খেয়া পারাপারের নৌকা নেই। গ্রামে চলাচলকারী হাজারো মানুষের ধ্যান-ধারণা ছিলো খেয়া নৌকার বদলে এ স্থান দিয়ে পারাপারের জন্যে জনস্বার্থে নির্মাণ হবে পাকা সেতু। কিন্তু তা না হওয়ায় গ্রামের সচেতন মানুষ নিজেরাই চাঁদা দিয়ে দুপাড়ে পারাপারের জন্যে নির্মাণ করেন বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তা অনেক সময় রক্ষণাবেক্ষণে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয় হাজারো মানুষকে। গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সাঁকোটি পাকাকরণের। কিন্তু তাদের দাবি দাবিই থেকে যায়। জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি জানিয়েও এখন পর্যন্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকোটি পাকা না হওয়ায় ইউনিয়নবাসীর মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক ক্ষোভ। অথচ নীলকমল, আর্শিনগর, চরসেনসাস, চরকুমাইড়া ইউনিয়নসহ শরীয়তপুরগামী হাজারো মানুষকে প্রতিদিন পারাপার হতে হয় এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এলাকাবাসী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানতে চান আদৌ এ স্থানে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণ হবে তো? ছবি ও প্রতিবেদন : বিমল চৌধুরী।