প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার চরবাগাদী পাম্প হাউজ (স্লুইস গেট) এলাকায় ১ কিলোমিটারের মধ্যে ২টি ইজারা দেয়ায় সরকার রাজস্ব হারাতে বসেছে। জানা যায়, চরবাগাদী পাম্পিং প্লান্ট (নানুপুর স্লুইস গেটের) পূর্বে ইজারা দেয়া হতো দেড়-২ লাখ টাকা। বিগত ২০ বছর ধরে এ ইজারা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভ্যাটসহ ২৪ লাখ টাকা ইজারা হয়েছে। নানুপুর স্লুইস গেট হতে বাঘড়া বাজারের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। ১ কিলোমিটারের মধ্যে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ অনিয়ম করে ৫ জানুয়ারি ২০২৩ হতে ৫ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ইজারা প্রদান করে। যার ফলে ২টি ঘাটে ট্রলারগুলো অধিক ইজারা গুণতে হচ্ছে। ২টি ইজারা হওয়ায় বিভিন্ন সিমেন্ট কোম্পানি বাঘড়া লেবুতলা এলাকা দিয়ে সিমেন্ট উঠানো বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
জানা যায়, বিগত ২০ বছর ধরে বাঘড়া বাজার লেবুতলায় কিছু ফসিল জমি ইজারা নিয়ে কয়েকটি সিমেন্ট কোম্পানি মালামাল আনলোড করে আসছে। এর ফাঁকে কিছু বালি ব্যবসায়ী নিজস্ব জায়গায় বালির ব্যবসা শুরু করে। এ ব্যবসার কারণে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড বছরে ২৪/২৫ লাখ টাকা ইজারা পেয়ে থাকে। বাঘড়া বাজারে সিমেন্ট ও বালির ট্রলার আসা-যাওয়ার কারণে প্রতি বছর স্লুইস গেটের ইজারা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। একই স্থানে ২টি ইজারা হওয়ায় সিমেন্ট ও বালির ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। যার ফলে প্রায় ১ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা জানান, একই স্থানে ২টি ঘাট ইজারা হওয়ার কথা শুনে সিমেন্ট কোম্পানিরা ও বালি ব্যবসায়ীরা এ স্থান দিয়ে মালামাল আনলোড করা বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। কোম্পানিদের মালামাল আনলোড না হলে আমরা কী করে খামু। এখানের ঘাট বন্ধ হয়ে পড়লে আমরা বেকার হয়ে যামু। কীভাবে সংসার চালামু। বাবা-মা বা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।