প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে চুরির ঘটনা। ২ থেকে ৩ মাসের ব্যবধানে একই এলাকা থেকে ৯টি অটোবাইক, একটি মোটরসাইকেল ও দোকানের মালামাল চুরি হয়। রাতে অটোবাইক চার্জে দিয়ে ঘুমিয়েছেন অটোবাইকের মালিক, সকালে উঠে দেখেন ঘরের তালা ভাঙ্গা। ঘরে নেই দুটি অটোবাইক। হঠাৎ এ রকম চুরির ঘটনায় হতাশ এলাকাবাসী।
জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গাজী বাড়ি থেকে ইব্রাহীম গাজীর ২টি অটোবাইক চুরি করে নিয়ে যায়। একই এলাকায় গাজী মসজিদের পাশে ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে শাহিন আলম কালুর আল-আমিন স্টোরের তালা ভেঙ্গে দোকানে থাকা একটি মোটরসাইকেল ও দামী দামী সিগারেটগুলো নিয়ে যায় এবং পাশের সেলিম স্টোরের তালা ভেঙ্গে কিছু বাটন ফোন ও মোবাইল কার্ড নিয়ে যায়। একই এলাকায় দেড়মাস পূর্বে বেপারী বাড়ির ফজলুর রহমান বেপারীর ঘরের তালা ভেঙ্গে দুটো অটোবাইক চোরে নিয়ে যায়।
গতকাল রাতে চুরি হওয়া অটোবাইকের মালিক ইব্রাহিম জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একটি অটোবাইক ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে চার্জে দিয়েছি এবং অপরটি গত দুমাস পূর্বে একই দামে ক্রয় করেছি। সকালে উঠে দেখি ঘরে চার্জ দেয়া অবস্থায় থাকা ২টি অটোবাইক নেই। আমি লোন ও ধার দেনা করে সানওয়েল কোম্পানির তেলের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিয়েছি। এই অটোবাইক ক্রয় করেছি মালামাল দোকানে পৌঁছে দেয়ার জন্য। আমি এখন কী করে মালামাল দোকানে দোকানে পৌঁছে দিবো?
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমান মেম্বার জানান, দুই-তিন মাসের মধ্যে আমার এলাকা থেকে ৯টি অটোবাইক চুরি হয়েছে। কার কার অটোবাইক চুরি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জহিরের ১টি, ইসমাইলের ১টি, সুফিয়ানের ১টি, হেদায়েতের ১টি, আরো আছে নাম জানা নেই। গত কিছুদিন পূর্বে ফিরোজের ২টি ও সর্বশেষ গতরাতে ইব্রাহিমের ঘরের তালা ভেঙ্গে ২টি অটোবাইক নিয়ে যায় চোরের দল।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া মোটরসাইকেলসহ মোবাইল দোকানেও চুরি হয়েছে। ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদেক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাদের কঠোর নজরদারি পারে চুরি রোধ করতে।