প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ভেক্যু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার দায়ে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া মাঠে চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই আদালত পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর আলোকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন হাটিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ওই গ্রামের মৃত আলী আজ্জমের ছেলে জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল, একই ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন, শাহরাস্তি উপজেলার নিজমেহার গ্রামের হাসান আহম্মদের ছেলে রেজাউল করিম, একই উপজেলার রাঢ়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ মাইনুদ্দিন ও কচুয়া উপজেলার চাঙ্গিনী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ শরীফ।
জানা যায়, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ কৃষি মাঠে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান দুলাল মির্জার বেড়িতে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে কয়েকটি ভেক্যু দিয়ে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে রোববার দিবাগত রাতে ওই বেড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাশেদুল ইসলাম। রাতেই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেক্যুর মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়। পরে ম্যাাজিস্ট্রেট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালে মজুমদারের জিম্মায় ভেক্যু মেশিনগুলো জমা দিয়ে আসেন।
পরের দিন সোমবার সকালে এক দফা ও বিকেলে দ্বিতীয় দফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলালকে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে নগদ ১ লাখ টাকা, ভেক্যুর প্রতিনিধি মোঃ শরীফকে ৫০ হাজার টাকা, রেজাউল করিমকে ২ লাখ টাকা, মোঃ মাইনুদ্দিনকে ১ লাখ টাকা ও শাহাদাত হোসেনকে ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং সেই অর্থ আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরবতর্তীতে উক্ত অংশসহ কোথাও থেকে মাটি না কাটার জন্যে জরিমানাপ্রাপ্ত সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান মানিক, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ স্থানীয় ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।