শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ধেররা বাজার মৎস্য আড়তের ইজারা বাতিলের আবেদন
হাজীগঞ্জ ব্যুরো ॥

হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা মৎস্য আড়তদারদের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ধেররাস্থ দোকান মালিক ও আড়তদারগণ। গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপনের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আড়তদারগণ।

বাজারের মৎস্য আড়তদারদের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়ে দোকান মালিকদের পক্ষে সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন এবং মৎস্য আড়তদারদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শতরূপা মৎস্য আড়তের মালিক নির্মল চন্দ্র দাস ও মা-বাবার দোয়া মৎস্য আড়তের মালিক মোঃ শাহআলম।

তারা বলেন, ধেররায় নিজস্ব ভূমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে কেউ নিজে, আবার কেউ ভাড়া দিয়েছেন। এসব ঘরে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সবাই মৎস্য আড়তদারের ব্যবসা করে এবং দোকানঘরের খাজনা বাবদ পৌরসভার ট্যাক্স দিয়ে থাকে। এখানে সরকারি খাস কিংবা পৌরসভার কোনো নিজস্ব ভূমি বা বাজার নেই। সারাদিনে ভোর রাতে মাত্র একঘণ্টা এখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলে। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এই মৎস্য আড়তগুলোকে মাত্র ১ ঘন্টার জন্যে বাজার হিসেবে পৌরসভাকে নিয়মিত ইজারা দিয়ে আসছে।

তারা আরো বলেন, বাজার হিসেবে ইজারা দেয়ার টাকা আমরা ব্যবসায়ীরা (আড়তদাররা) সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে পরিশোধ করছি। কারণ, মাছ ব্যবসায়ী বা মাছ চাষীদের কাছ থেকে টাকা নিলে এই আড়তগুলোতে মাছ আসা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দিনে দিনে খরচ বৃদ্ধি ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে মাছ ব্যবসায়ী বা মাছ চাষীদের কাছ থেকে আমরা সামান্য কিছু করে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছি। এতে করে অনেক ব্যবসায়ী বা মাছ চাষী এখানে মাছ আনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, এখানে বর্তমানে ২০টি মাছের আড়ত রয়েছে। এসব আড়তে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েকশ’ মানুষের কর্মসংস্থান। তাই এই আড়তগুলোকে রক্ষায় এবং আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে পৌরসভা কর্তৃক ইজারা বাতিল করা প্রয়োজন। তা না হলে এখানে মাছ ব্যবসায়ী ও মাছ চাষীরা মাছ আনা বন্ধ করে দিবেন। এতে আমরা দোকান মালিক ও মৎস্য আড়তদাররাসহ শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে।

এ সময় রূপালী মৎস্য আড়ত, সোনার বাংলা মৎস্য আড়ত, মা মৎস্য আড়ত, ওয়ান স্টার মৎস্য আড়ত, ভাগিনা মৎস্য আড়ত, যমুন মৎস্য আড়ত, আদর্শ মৎস্য আড়ত, জননী মৎস্য আড়ত, রামপুর মৎস্য আড়ত, সততা মৎস্য আড়ত, জনতা মৎস্য আড়ত, একতা মৎস্য আড়ত, রহমান মৎস্য আড়ত, ভাই ভাই মৎস্য আড়ত, মায়ের দোয়া মৎস্য আড়ত, শাহরাস্তি মৎস্য আড়ত, আল্লাহর দান মৎস্য আড়ত ও পল্লবী মৎস্য আড়ত মালিক ও কর্মচারি (শ্রমিক) সহ দোকান মালিকের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়