প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জে মৎস্য ব্যবসায়ীদের পাশে পৌর মেয়র লিপন
হাজীগঞ্জ বাজারের স্থায়ী মৎস্য ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালেন পৌরসভার মেয়র আ. স. ম. মাহবুব-উল আলম লিপন। সাধারণ মৎস্য ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বালুর মাঠে (গাজীর খাদা) অস্থায়ী মাছ বাজারের ইজারা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রোববার হাজীগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ বাজারস্থ তরকারি পট্টি ও পৌর হকার্স মার্কেটে পৌরসভা কর্তৃক দুটি স্থায়ী বাজার রয়েছে। যার ইজারা পৌরসভা দিয়ে থাকে। এছাড়া পশ্চিম বাজারস্থ বালুর মাঠে (প্রকাশ্যে গাজির খাদা) অস্থায়ী একটি মাছ বাজার সম্প্রতি সৃষ্টি করা হয়।
তরকারি পট্টির মাছ বাজারটি প্রতিদিন ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত, আর হকার্স মার্কেটের বাজারটি বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট হয়ে উঠে। এছাড়া বালুর মাঠের মাছ বাজারটি সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জমে উঠে। একই বাজারের তিনটি স্থানে ভিন্ন বাজার বসার কারণে প্রতি মৎস্য ব্যবসায়ীকে তিনবার খাজনা দিতে হয় বলে ব্যবসায়ী মহল থেকে অভিযোগ উঠে।
এরপরেই সকল মাছ বিক্রেতা একত্রিত হয়ে অস্থায়ী মাছ বাজারটি উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি পৌর মেয়রের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন মাছ ব্যবসায়ীদের কথা ও তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বিবেচনা করে বালুর মাঠের অস্থায়ী মাছ বাজারটির ইজারা বন্ধের উদ্যোগ নেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত পৌরসভা কর্তৃক হাট-বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে বালুর মাঠের অস্থায়ী মাছ বাজারটি ইজারা দেয়ার কথা উল্লেখ নেই। পৌর মেয়রের এমন আন্তরিকতা দেখে মাছ ব্যবসায়ীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা পৌর মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পৌর মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাছ বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহআলম ও মাছ বিক্রেতা মোঃ এরশাদ হোসেন এসু (কালু মিয়া) জানান, আমরা একবার মাছ কিনি (ক্রয়), কিন্তু তিনবার খাজনা দেই। এতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। অবশেষে আমাদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে এবং আমাদের কথা চিন্তা করে পৌর মেয়র অস্থায়ী মাছ বাজারটি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন বলেন, মাছ ব্যবসায়ীদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে এবং তাদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে বালুর মাঠের অস্থায়ী মাছ বাজারটি স্থায়ীভাবে বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নতুন করে প্রকাশিত ইজারাটির কার্যক্রম শুরু হলে বালুর মাঠের (গাজীর খাদা) অস্থায়ী মাছ বাজারটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।