সোনালি-রূপালি-শহিদ নিয়ে ব্যস্ত, অন্য বানান নিয়ে উদাসীন

আমাদের বানান-মোড়লরা বাংলা বানানে নানা গবেষণা করে পরিবর্তন আনছেন, যেমন সোনালীকে সোনালি, রূপালীকে রূপালি, শহীদকে শহিদ, গরুকে গোরু, শ্রেণীকে শ্রেণি ইত্যাদি লিখার তাগিদ দিয়ে হয়রান হচ্ছেন। সেই তারাই কৃতী ছাত্রকে, কৃতী সন্তানকে কৃতি ছাত্র/সন্তান, সচ্ছলকে স্বচ্ছল, চতুর্দশকে ১৪’শ, সবান্ধবকে স্ববান্ধব ইত্যাদি ভুল বানানে লিখতে বিরত থাকতে কেনো তাগিদ দেন না, সেটা অনেকেরই বুঝে আসে না। ইংরেজি pillar বানানে একটা ‘l’ (এল) কম দিতে দেখলেই বানান বিশেষজ্ঞরা খেপে একাকার হন, কিন্তু সেই তারাই বাংলা বানানের অশুদ্ধতায় সোচ্চার হন না, এমনকি সাইনবোর্ড, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড সহ নানা প্রচার সামগ্রীতে ভুল বানান দেখেও।

বাংলা বানানের পরিবর্তন নিয়ে অনেককে সোচ্চার হতে দেখা যায়। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে গতানুগতিক আনুষ্ঠানিকতা পালন ছাড়া শুদ্ধ বানান চর্চায় আগ্রহী করার জন্যে ন্যূনতম প্রয়াস গ্রহণের উদ্যোগ কি সচরাচর দেখা যায়?