শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৯

সরলে সরল : সরলে গরল

ল্যান্ড ফোনের ডিজিট যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটা জানে ক’জনে?

পর্যবেক্ষক
ল্যান্ড ফোনের ডিজিট যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটা জানে ক’জনে?

বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি, তার মধ্যে ১২ কোটিরও অধিক গ্রাহক রয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন অপারেটরের। তার বিপরীতে ল্যান্ড ফোন তথা টেলিফোনের সংযোগ রয়েছে মাত্র সাড়ে ছয় লাখ। মোবাইল ফোন নম্বরের বহুল ব্যবহার থাকায় সেটি সম্পর্কে গ্রাহক মাত্রই সচেতন ও নম্বর থাকে মুখস্থ। কিন্তু ল্যান্ড ফোন থাকার পরও গ্রাহক সেটির ব্যবহার খুবই কম করায় নিজ নম্বর সম্পর্কে এতোটা উদাসীন যে, সর্বশেষ কী পরিবর্তন হচ্ছে সেটা সম্পর্কে জানে না বললেই চলে। যেমন চাঁদপুর জেলা শহরের কথাই বলা যাক।

চাঁদপুরে স্বাধীনতোত্তর ল্যান্ড ফোনের তিন ডিজিটের নম্বর ছিলো। শুরুটা ছিলো ২ দিয়ে। তারপর চার ডিজিট হলে শুরু ছিলো ৩ ও ৫ দিয়ে। পাঁচ ডিজিট হলে শুরুটা হয় ৬ দিয়ে। সত্যি কথা বলতে কি, পাঁচ ডিজিটের নম্বরটিই চাঁদপুরের গ্রাহকরা বেশি জানে। তারপর গত প্রায় এক বছর ধরে চাঁদপুরের ল্যান্ড ফোন (টেলিফোন) নম্বর যে মোবাইল ফোন নম্বরের মতো ১১ ডিজিটের হয়ে গেছে, সেটি ল্যান্ড ফোনের বাধ্যতামূলক গ্রাহক খোদ সরকারি অফিসগুলোই জানে না। এর প্রমাণ তাদের অফিসিয়াল প্যাড, ওয়েব সাইট, পত্রিকায় প্রদত্ত বিজ্ঞাপনে ল্যান্ড ফোনের সাবেক পাঁচ ডিজিটের নম্বরের ভুল অস্তিত্ব।

পাঠক যাতে সহজে বুঝেন, সেজন্যে উল্লেখ করা যায় যে, চাঁদপুর কণ্ঠের ল্যান্ড ফোনের সর্বশেষ নম্বর ছিলো ৬৫৫৮৭। বর্তমানে সেটি হচ্ছে ০২৩৩৪৪৮৫৫৮৭। এখানে অতিরিক্ত যোগ হয়েছে ৬টি নম্বর ০২৩৩৪৪। আর পূর্বের নম্বর (৬৫৫৮৭)টি শুরু হয়েছে ৬-এর পরিবর্তে ৮ দিয়ে।

ল্যান্ড ফোনের ডিজিট পরিবর্তনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাপক জানান দিতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি, প্রেস ব্রিফিং, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তারা সেটি করেনি। সেজন্যে তাদের গ্রাহকরা রয়ে গেছেন অনিবার্য অবহিতির বাইরে।

পাঠকদের একটু জানানো দরকার, ১৮৫৩ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর চালু হয় ল্যান্ড ফোন (টেলিফোন)। ১৯৭১ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন (সংক্ষেপে টিএন্ডটি) বিভাগ। এ বিভাগই সারাদেশে ল্যান্ড ফোন সেবা দেয়। ১৯৭৬ সালে এ বিভাগটিকে কর্পোরেট সংস্থায় রূপান্তর করা হয়। ১৯৭৯ সালে নাম হয় বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ এন্ড টেলিফোন বোর্ড ( বিটিটিবি)। তারপরও মানুষ টিএন্ডটি বলেই চিনতো বা ডাকতো। সর্বশেষ ২০০৮ সালে বিটিটিবিকে করা হয় লিমিটেড কোম্পানি। পরিবর্তিত নাম হয়ে যায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লি. (বিটিসিএল)। মানুষ তারপরও এটিকে টিএন্ডটি হিসেবেই চিনে।

বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন চালু হয় ১৯৯৩ সালে। এটি চালু করে হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল)। রাজধানী ঢাকাতেই ছিলো এর সেবা। ১৯৯৬ সালে এটি হয়ে যায় সিটিসেল। তারপর নূতন শতাব্দীর শুরুর দিকে সারাদেশে চালু হতে থাকে গ্রামীণফোন। পর্যায়ক্রমে আরো চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক ও টেলিটক তাদের মুঠোফোন সেবা চালু করে। পাঁচটি অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি। তন্মধ্যে গ্রামীণফোনেরই প্রায় ৯ কোটি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়