প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের দুই নারী চোরকে শনাক্ত ও আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির অফিসে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দেখে এদের শনাক্ত করা হয়। আটককৃত এই নারী বিশেষ করে মার্কেটিং করতে আসা বা অন্য কাজে আসা নারীদের টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার চুরি করতো। আটককৃতরা হলো : চাঁদপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীরামদী এলাকার রেলওয়ে কাচ্চা কলোনীর মুহাম্মদ ফয়সাল হোসাইন বাবুর স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী (২৭) ও একই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ওয়্যারলেস এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ ক’জন নারী ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে যান ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) দেখার জন্য। কিন্তু নেকাব ও বোরকা পরার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। এমন বেশ ক’টি অভিযোগ পাওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে চোর ধরার চেষ্টা করেন। অবশেষে তারা সফল হন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) হাজীগঞ্জ বাজার থেকে এক নারী চোর এবং পরে পুলিশের সহায়তায় অপর নারী চোরসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে আরো জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মহিলা চোরের কবলে পড়ে অনেক সাধারণ মহিলা নিঃস্ব হয়েছেন। অনেক মহিলা ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে এসে সিসিটিভির ফুটেজ দেখার জন্য কান্নাকাটি করে। এর মধ্যে কারো ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত টাকা, কারো মোবাইল, কারো গলার চেইন নিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না, আবার শনাক্ত করা গেলেও আটক করা সম্ভব হয় না। নারী চোরদের আটকের জন্যে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সিসিটিভির ফুটেজ ও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ শুরু করে। অবশেষে স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে হাতেনাতে এক নারী চোরকে ধরেন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এরপর পুলিশের সহায়তায় আরো এক নারী চোরকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন জানান, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের বহু চেষ্টার পর দুই নারী চোরকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হন। ব্যবসায়ী সমিতি দুই নারী চোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, আটক দুই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।