শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় পরকীয়ায় নিঃশেষ প্রবাসী আঃ রহিম
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের আকানিয়া গ্রামের বাগান বাড়ির প্রবাসী আব্দুর রহিমের স্ত্রী দুসন্তানের জননী সীমা আক্তার ও একই বাড়ির চাচা সম্পর্কিত এক সন্তানের জনক রুবেলের পরকীয়ায় নিঃশেষ হয়ে পড়েছে প্রবাসী আব্দুর রহিম। সম্প্রতি এর সূত্র ধরে আব্দুর রহিমের বসতঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হলে এ ঘটনা রুবেলই ঘটাতে পারে বলে প্রবাসী রহিমের স্ত্রী সীমা দাবি করেন। এ ব্যাপারে সীমাকে প্রধান সাক্ষী করে রহিমের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত, কচুয়া, চাঁদপুরে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৬০/২০২২। মামলা দায়েরের পরও রুবেল ও সীমা একাধিকবার অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকে। একাধিকবার এই মেলামেশার পর মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি রাতে একই গ্রামের পাশাপাশি সীমার পিত্রালয়ে তাদের দুজনকে অসামজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় আটক করে স্থানীয় লোকজন।

সরজমিনে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ও স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহজাহান জানান, আমি খবর পেয়ে সীমার বসত কক্ষের ঘরের কাঁড় থেকে রুবেলকে বের করে আনি এবং ঘটনাটি মীমাংসার জন্য তার পরিবারের লোকজনের জিম্মায় রুবেলকে দিয়ে আসি। এ সময় বাড়ির একাধিক লোক দৃশ্যগুলো মোবাইল ফোনে রেকর্ডে ধারণ করে রাখে, যে রেকর্ডটি এ প্রতিনিধি উদ্ধার করেন।

মামলার এজাহারে প্রকাশ, প্রায় সময় রুবেল সীমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। রুবেলের এ কুপ্রস্তাবে সীমা রাজি হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় গত ২৮/১০/২০২২ তারিখে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে সীমা তার পিত্রালয়ে অবস্থানকালীন রুবেল সীমার ফোনে কল দিয়ে বলে তখনই বাড়িতে চলে আসার জন্য। যদি না আস তাহলে ঘর পুড়িয়ে দেবো। এ হুমকির ৩ ঘন্টা পরই রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রবাসী আব্দুর রহিমের বসত ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মামলাটি তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালত চাঁদপুর সিআইডি দপ্তরে প্রেরণ করে।

সীমা জানান, রুবেল আমাকে প্রায় সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি তার এ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে-ই অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে। গেল মঙ্গলবারের কথা জিজ্ঞাসা করলে সীমা জানান, আমার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়লে আমার পরিবারের লোকজন তাকে তাড়িয়ে দেয়। রুবেল জানান, তাদের সাথে আমাদের পূর্বের শত্রুতা রয়েছে। সম্পর্কে সে আমার চাচী এবং মায়ের মতো, তার সাথে আমার কোনো পরকীয়ার সম্পর্ক নেই এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও আমি জানি না। তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টায় হয়রানি করে আসছে।

সিআইডিতে মামলার তদন্ত অফিসার মোঃ জালাল বাবুল জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ হলে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। ঘটনাটি নিয়ে আকানিয়া গ্রামে আলোচনা ও সমলোচনার ঝড় বইছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়