বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার ৯ জানুয়ারি রাতে আউটার স্টেডিয়ামে মেলার বঙ্গবন্ধু মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ (অবঃ) এমএ ওয়াদুদ। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বিজয় মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ছাড়া এবং আমাদের মাঝে ফিরে না আসা পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেইনি। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। বর্তমান সরকার নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোনো সখে বা আনন্দের জন্যে করিনি। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে ছাত্ররা ভাষার জন্যে যুদ্ধ করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। যার পথিকৃৎ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করেছিলেন। গঠন করেছিলেন সংগ্রাম কমিটি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তির কথা কেনো বলেছিলেন তা বুঝতে হবে। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে আজকেও আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। যখন আমাদের দেশে আর অভাব থাকবে না, বাঙালিরা সুখে শান্তিতে বসবাস করবে, তখন আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলা আরো আগে দেখতে পারতাম। বিলম্ব হলেও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সেই স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতির মধ্য থেকে একটি স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অনেক কষ্ট করেছিলাম। যুদ্ধে গিয়েছিলাম কোনো কিছু পাওয়ার জন্যে নয়। যুদ্ধে গিয়ে মরে গেলেও দেশকে স্বাধীন করবো এ চিন্তা ছিলো। মুক্তিযুদ্ধ করতে গিয়ে অনেকের সাহায্যও পেয়েছিলাম। আমি যখন গুলি খেয়েছিলাম তখন এক বোন তার প্রিয়জনের শাড়ি ছিঁড়ে আমার রক্ত বন্ধ করার জন্যে দিয়েছিলেন। সে বোন আমাকে সাহায্য করেছিলো তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু আমরা কি পেরেছি আমাদের এ স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন করে রাখতে?

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মৃনাল কান্তি সাহা, সহকারী কমান্ডার আব্দুল মান্নান মিয়াজী, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব আলী, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। আলোচনা শেষে জেলার ২শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্লাহ খান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়