বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, সরকারকে বলবো জনগণের দাবির কাছে মাথা নত করুন। অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের রক্ষাকবজ এই দাবি। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশে হতে দেবে না। চাঁদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত আন্দোলনের ১০ দফা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফার রূপরেখার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিমুল্লাহ সেলিমের পরিচালনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ শামীম আহমেদ, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, বিএনপি নেতা জসিমউদ্দীন খান বাবুল, মুনীর চৌধুরী, সেলিমুস সালাম, আক্তার হোসেন মাঝি, অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, অ্যাডঃ জহির উদ্দিন বাবর, শাহজালাল মিশন, অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, ব্যারিস্টার জহির উদ্দিন বাবর, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি ডাঃ মোবারক হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহেল রুশদী, সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভনসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন এবং বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও পৌর সাংগঠনিক ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মনিরুল হক চৌধুরী বিএনপির ২৭টি রূপরেখা বিশ্লেষণ করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আমরা যদি তৈরি করতে পারি, অর্থাৎ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যদি প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে নিশ্চয় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ২৭টি রূপরেখার আলোকে সরকার গঠন হবে। এজন্যে আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার নির্যাতন প্রতিহত করতে হবে। দলে কে কোন্ পদে আছেন বা পদ পাননি সেটা না ভেবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা সময়োপযোগী। যা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

কুমিল্লার কৃতী সন্তান বিএনপির প্রবীণ এই নেতা আরো বলেন, আজকে বিএনপির ২৭ দফা ও ১০ দফা বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন ও দেশের মানুষের কল্যাণের স্বার্থে। ওদের সাথে যুদ্ধ হচ্ছে, এই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করবো। তারাও জানে যে, নিজেরা ভোটারবিহীন সরকার। আইয়ুব খানও টিকতে পারেনি। কাজেই এই সরকারও টিকতে পারবে না।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবনের বিনিময়ে আপোষ করেননি। যুগে যুগে দেশের কল্যাণে অনেক নেতা এসেছিলো, আজকে একজন নেতা এসেছে, তিনি হলেন তারেক রহমান। ১৯৬৯-এ ছাত্রসমাজ দিয়েছিলো ৬ দফা। আজকে এদেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তারেক রহমান দিয়েছে ২৭ দফা। এমন যুগান্তকারী রাজনৈতিক কর্মসূচি বিএনপি দিতে পারে তা আমাদের ধারণা ছিল না এক মাস আগে। এটি সম্ভব হয়েছে তারেক রহমানের কারণে। আজকে ক্ষমতাসীনরা যাকে দুর্নীতিবাজ বলে, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষ না করার জন্য লিখিতভাবে বলছে। এমন সাহস একমাত্র তারেক রহমানই দেখাতে পারে।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানুন। সকল রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আজকে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেশে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে, সেই সঙ্কট থেকে দেশকে বাঁচান। জনগণের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিন।