প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
তীব্র শীতে চাঁদপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । ৪ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি টানা তিনদিন চাঁদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চাঁদপুরে গত তিনদিনে গতকাল শুক্রবার ছিলো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার ছিলো সর্বনিম্ন ১৫.৪ এবং বৃহস্পতিবার ছিলো ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল বাতাস ও শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে চারদিক। তীব্র এই শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার থেকে শীতের তীব্রতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে দেশের অন্য জেলাগুলোতেও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
তাপমাত্রা পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে ১৯ জেলায় তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী তিনদিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। নওগাঁর বদলগাছীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও যশোরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গত দুদিনের চেয়ে শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও হিমালয়ের বরফ গলা ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীতের দাপট কমেনি। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাত থেকে ভোর পর্যন্ত একটানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঝরছে কুয়াশা বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর পরই হাটবাজার সড়ক-মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
তীব্র ঠাণ্ডার কারণে জেলার স্কুল-কলেজগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। একটু উষ্ণতা খুঁজতে ছিন্নমূল ও দুঃস্থ পরিবারের লোকজন খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্য উঁকি দিলেও বাতাসের কারণে উত্তাপ থাকছে না।
শহরের অটোরিকশা চালক বিল্লাল দেওয়ান বলেন, শীতে কাবু হয়ে গেছি। রাস্তায় না নামলে কী খাবো।
জেলা প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার বলে সচেতন মহল মনে করছেন।