১৩ বছর বয়সের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ দলের ধর্ষণ চেষ্টার অভিয়োগে সোহেল হোসেন (২২) নামের একজনকে তার নানা বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ। একই ঘটনায় অজ্ঞাত দুই জনকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। গুরুতর অসুস্থ কিশোরী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হাজীগঞ্জের কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা গ্রামের মাস্টার বাড়ির পুকুরপাড় সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক সোহেল হোসেন ওই গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জিতু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এদিন রাতে পারিবারিক কাজে বসতঘরের বাইরে ছিলেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন। পরে তারা রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঘরে এসে কিশোরীকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে বের হন। পরে মাস্টার বাড়ির পুকুর পাড় সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তারা কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক অসুস্থ কিশোরীকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কিশোরী বিস্তারিত ঘটনা তার বাবা ও মাকে জানান। এরপর কিশোরীর বাবা হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে সোহেলকে প্রধান আসামী ও পলাতক দুজনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানান, সম্ভবত কিশোরী সোহেলকে চিনতে পেরেছে। কিশোরীর প্রতিবেশী সোহেল ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাশের ভাজনাখাল চাঁদপুর গ্রামের সোহেলের নানা বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, কিশোরীর বাবা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নামীয় ১ জন ও অজ্ঞাত ২ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত একজনকে আটক এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।