বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২২, ০০:০০

অর্থাভাবে চিকিৎসাবঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধার খোঁজ নেয় না সন্তানরাও
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন বাঙালির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের জন্যেই আমরা পেয়েছি এ স্বাধীন দেশ। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ফরিদগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ গোবিন্দপুর গ্রামের মাহাজন বাড়ির বাসিন্দা। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নিজের জীবনবাজি রেখে এদেশ স্বাধীন করেছি। এক সময় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেলেও ২০১২ সালের পর থেকে আমার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। আমার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সনদপত্র রয়েছে। ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত সাময়িক সনদ (যার সিরিয়াল নং ম- ১০৫৫৪০) এবং ফরিদগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের সিরিয়াল নাম্বার ০২০৫০৫০৬৩৭। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলা যাচাই-বাচাই কমিটির প্রতিবেদনে ১৫৮নং সিরিয়ালে আমার নাম লিপিবদ্ধ হয়। আমার নাম, ফরিদগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ভাতার বই নং-৫০৪। আমি টানা ৮ বছর ভাতা পেয়েছি। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক (একাউন্ট নং : ২০৩৬৩) ভাতা উত্তোলন করি।

তিনি বলেন, আজ আমি অবহেলিত, হার্টের সমস্যা, মুখ দিয়ে রক্ত পড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমার ৪ পুত্র, ১ কন্যা। তারাও আমার খোঁজখবর নেয় না।

তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, আমি যাদের সাথে যুদ্ধ করেছি, গুলশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজান, বলদা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা করিম, আইলের রাস্তা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা ও আজিজ তারা সকলে ভাতা পায়। তাহলে আমি কেনো ভাতা থেকে বাদ পড়লাম। এখন আমার পাশে কেউ নেই। না পাচ্ছি ভাতা, না পাচ্ছি সন্তানদের সহযোগিতা।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও চলতি দায়িত্ব পালন করা সহিদ উল্লা তপাদার জানান, মোঃ নূরুল ইসলামসহ অনেকের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া এই বিষয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। আশা করছি, মামলা নিষ্পত্তি হলে এবং পুনরায় ভাতা চালু হলে তিনিসহ সকলেই অন্যান্য সকল সুবিধা পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়