প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ০০:০০
মজু খাঁ হত্যার ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের মধ্য বাখরপুর গ্রামে সংঘটিত মজিবুর রহমান মজু খাঁ (৬০) কে কারা কেন খুন করেছে, এ বিষয়ে কোনো ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ।
|আরো খবর
গত ২২ জুন সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করে বিলের মধ্য ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় পুলিশ উজ্জ্বল বেপারী ও হাবিব মোল্লা নামে দুই প্রতিবেশীকে আটক করে। এর মধ্যে উজ্জ্বল এ হত্যা মামলার এজহার নামীয় আসামী। অন্যজন সন্দেহজনক। চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে এবং এজাহার নামীয় আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লকডাউনের কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে।
অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া জানান, আটক দুই আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি, তারা কারাগারে আছেন।
চান্দ্রা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও স্থানীয় দোকানি মজিবুর রহমান ওরফে মজু খাঁ ২২ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাখরপুরের বিলে মাছ ধরার চাঁই পাততে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে নিহতের স্ত্রী সায়রা বেগম দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও স্বামী বাড়ি ফিরে না আসায় স্বামীকে খুঁজতে বিলের দিকে যান এবং দেখেন ক্ষেতের আইলের হাঁটু সমান পানির ওপর গলাকাটা অবস্থায় স্বামীর নিথর দেহ পড়ে আছে। তখন তার ডাক-চিৎকারে গ্রামের অনেকে ছুটে আসেন।
১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারীকে ঘটনা জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাৎক্ষণিক চাঁদপুর সদর মডেল থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায় ও থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ রশিদ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন এবং মজু খাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পরের দদিন বুধবার নিহত মোঃ মজিবুর রহমান মজু খাঁয়ের ছেলে সোলায়মান খান বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ক’জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রামবাসীদের ধারণা, সম্পত্তিগত এবং প্রতিবেশীদের সাথে মামলা সংক্রান্ত বিরোধ থেকে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।